পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ণ-রহস্য Ե(: আর এক রকমে এইরূপ বর্ণবিশেষের লোপ ঘটে । আলোকের অনেক গুলা সরু সরু পথ বা উৎপত্তিস্থান সারি সারি কাছাকাছি থাকিলে সকল স্থান হইতেই ঢেউ আসে। কিন্তু একটা নির্দিষ্ট স্থলে সকলে একসঙ্গে পৌছতে পারে না ; কেহ বা একটু আগে পৌছায়, কেহ একটু পরে পৌছায় ; কাজেই, ইহার পেটে উহার মাথায় ও ইহার মাথায় উহার পেটে হইয়। আলোর লোপ ঘটিয়া আঁধার ঘটে, অথবা বর্ণবিশেষের লোপ ঘটিয়া শাদ আলো রঙিল আলোতে পরিণত হয়। হাতের দুই আঙ্গুল সংলগ্ন কফুিল তাহার মধ্যে যে সঙ্কীর্ণ দীর্ঘাকার পথ থাকে, অথবা কাগজে ছুচ দিয়া ফুটা করিলে আলোর যে ছোট পথ হয়, সেই সঙ্কীর্ণ ক্ষুদ্র পথে চোখ রাখিলে দেখা যায়, পথ দিয়া আলো আসিতেছে বটে, কিন্তু স্থানে স্থানে কাল কাল রেখা পড়িয়া গিয়াছে। একখানা পালিশ করা ধাতুফলকের গায়ে বা একখানা কাচের গায়ে খুব কাছাকাছি করিয়া, এক ইঞ্চি স্থানের ভিতর দু দশ হাজার করিয়া, সমাস্তুরাল রেখা টানিলে, দুষ্ট দুই রেপার মধ্যগত স্থান হইতে আলো আসে, এবং সেই বিভিন্ন স্থান ইতে সমাগত আলো পরস্পর কাটাকাটি করিয়া রঙিল আলোর স্বষ্টি করিয়া থাকে। মশা, মাছি, ফড়িঙ প্রভৃতি যখন স্বৰ্য্যালোকে উড়িয়া বেড়ায়, তখন তাহদের পাখায় নানাবিধ রঙের আবির্ভাব দেখা যায়। সে রঙ এই কারণেই উৎপন্ন হয়। তাহাদের পাথার গায়ে লম্বা লম্বা সরু সরু অনেক রেখা আছে । সেই সকল রেখার মধ্যস্থিত নানাস্থান হষ্টতে প্রতিফলিত ঢেউ পরস্পর কাটাকাটি করিয়া রঙিল আলো সৃষ্টি করে । প্রাকৃতিক পদার্থে বিবিধ বর্ণের বিকাশের এই কয়েকটি প্রধান কারণের উল্লেখ করিলাম। এখন গোটাকতক উদাহরণ দিলেই পাঠক পরিত্রাণ পান ।