পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե-Ե» জিজ্ঞাসা ষে সকল ঢেউ ফিরিয়া আসে, তাহার একত্র মিশিয়া পীত বা লোহিত বা নীল বা সবুজের অনুভূতি জন্মায় । অমুক দ্রব্যের রঙ পীত দেখিয়া যেন মনে করিও না, যে উহা বিশুদ্ধ পীত । খুব সম্ভব, পীতজনক ঢেউ একবারেই বিদ্যমান নাই ;--অন্ত পাঁচ রঙের ঢেউ একত্র আসিয়া পাতের অনুভূতি জন্মাইতেছে মাত্র । পদার্থমাত্রই পরমাণুর বিবিধাবধানে সমাবেশে গঠিত। পরমাণুর গঠনের সহিত ও তাহদের সমাবেশের সহিত বর্ণোৎপাদনের কি সম্বন্ধ আছে, তাত এখনও ঠিক করিয়া বলিতে পারা যায় না। তবে একটা সম্বন্ধ আছে সন্দেহ নাই । কতকগুলি ধাতুপদার্থ আছে,— তাম, লোহা, ক্রোম, মঙ্গন, নিকেল, কোবাণ্ট—এই সকল ধাতু যে সকল পদার্থে বর্তমান, তাহারা প্রায়ই বিবিধ উজ্জল বর্ণের বিকাশ করে। রঙিল কাচের রঙ ও বিবিধ মণিরত্নাদির রঙ এই কয়েকটি ধাতু দ্রব্যের অস্তিত্বস্বত্রে জন্মে । আবার কয়লা ও উদজান ও অম্লজানের পরমাণু নির্দিষ্ট বিধানে সঙ্গত ও সমাবিষ্ট হইয়া এক শ্রেণীর পদার্থের স্বষ্টি করে, তাহারাও বিচিত্র বর্ণের উৎপাদনের জন্ত প্রসিদ্ধ। জলে তেলের ফোটা ফেলিলে তাহ বিস্তার লাভ করিয়া স্তৃক্ষ আস্তরণের মত হইয়া যায় ও বর্ণের বিকাশ করে । কিরূপে করে, পূৰ্ব্বে বলিয়াছি । ঢেউগুলির মধ্যে কাটাকাটি হইয়া যায় । এইরূপে প্ৰশাধকাশের বিস্তর উদাহরণ আছে। সাবানের ফেনার গায়ে রঙ, জলবুদ্ধদের পিঠে রঙ, মন্থণ ধাতু পৃষ্ঠে ময়লা জমিলে বা মরিচ জমিলে তাহার রঙ, ঝিনুকের রঙ, শঙ্খশক্ষুকের রঙ এই কারণে উৎপন্ন হয় । মাছির পাখায়, ফড়িঙের পাখায়, পার্থীর পালকে, প্রজাপতির গায়ে রঙও অনেক সময় এই কারণেই উৎপন্ন হয় । উদ্ভিদের একটা সাধারণ বর্ণ আছে, হরিৎ ; কিন্তু ফুলের কোন বাধার্বাধি রঙ নাই । আবার জীবশরীরের কোন সাধারণ বর্ণ নির্দিষ্ট