বর্ণ-রহস্য b~సి নাই । এক এক জীবের দেহে এক এক রঙ ও এক এক ফুলের এক এক রঙ। এই বিচিত্র বর্ণের বিকাশ নানা কারণে ঘটে । কখনও বা গায়ের উপর এমন কোন প্রলেপ থাকে, যাহাতে কোন কোন ঢেউ বাছিয়া শুষিয় লয় ; অন্য অন্ত ঢেউ ফিরাইয়া দেয় । কোথাও বা গায়ের উপর সরু পরদ থাকায় কোন একটা ঢেউ কাটাকাটি হইয়া নষ্ট হইয়া যায় । আবার কখনও বা গায়ের উপর সরু সরু ঘন সন্নিবিষ্ট রেখা থাকে ; তজ্জন্তও ঢেউ ঢেউকে কাটে। জীবশরীরে ও পুষ্পশরীরে বর্ণবিকাশের ইতিহাস জানিতে হইলে ডারুইনের নিকট যাইতে হইবে । জীবনযাত্রায় সুবিধা লক্ষ্য করিয়৷ জীবের দেহে বর্ণ বিকাশ ঘটে । এ স্থলে আমরা সেই ইতিহাসের অবতারণা করিব না । উপসংহারে একটা তত্ত্বকথা আসিয়া পড়ে । জগতে এই বিচিত্র বর্ণবিকাশে কাহার ও কোন ক্ষতি বৃদ্ধি আছে কি না ? ইহার সহিত কোন মঙ্গলের বা অমঙ্গলের সম্পর্ক রহিয়াছে কি না ? যাহার প্রত্যেক জাগতিক ব্যাপারে বিধাতার একটা গুঢ় মঙ্গলাত্মক উদ্দেশু আবিষ্কার না করিলে তৃপ্তিলাভ করেন না, তাহাদিগকে ঠাও। কারবার জন্য এই তত্ত্বকথাটার অবতারণা আবহুক । প্রথম কথা, বিবিধ বর্ণবিকাশে আমাদের একটা স্থল উপকার চোখের উপরেই দেখা যাইতেছে । নানাবিধ দ্রব্য নানা বর্ণে রঞ্জিত দেখাতে জগতের সঙ্গে আমাদের কারবারের যথেষ্ট স্ববিধা হইয়াছে। বর্ণের বিভেদ দেখিয়া আমরা বিবিধ দ্রব্যের সহিত সহজে পরিচিত হইতে পারি ; তাহাদিগকে চিহ্নিত করিয়া চিনিয়া লইবার সুবিধা হয় । স্বতরাং বিবিধ বর্ণের বিকাশ আমাদের জীবনযাত্রার অনুকূল। আবার বর্ণবিকাশে জীবনযাত্রার যেমন সুবিধা হইয়াছে, তেমনই জগতে কতকটা আরাম ও কতকটা আনন্দ পাইবারও বেশ সুন্দর ব্যবস্থা হইয়াছে । সবই এক রঙের হইলে জগৎ নিতান্ত একঘেয়ে কদাকার হইয়া
পাতা:জিজ্ঞাসা.djvu/৯৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।