হইয়া শয্যাগত থাকিয়াও বিনা সাহায্যে উদ্ভিদ বিদ্যা অধ্যয়ন করেন। এবং চিকিৎসকের উপদেশানুসারে স্বাস্থ্যপ্রতিলাভার্থে যে কিয়ৎকাল পর্য্যটন করেন তাহাতে গ্রীশ, ইটালি ও ভারতবর্ষীয় দেবতাগণের বিষয়ে এক প্রশস্ত গ্রন্থ রচনা করেন। ইহাতে বোধ হইতেছে যে তিনি আপন মনকে এমন দৃঢ়ীভূত করিয়াছিলেন যে এইরূপ পরিশ্রম বিশ্রামভূমিতে গণনীয় হইত।
কিয়দ্দিবস পরে তিনি কিঞ্চিৎ মুস্থ হইয়া উঠিলেন এবং পুনর্ব্বার পুর্ব্বাপেক্ষায় সমধিক প্রযত্ন ও উৎসাহ সহকারে বিচারালয়ের কার্য্যে ও অধ্যয়নে মনোনিবেশ করিলেন। কিছুকাল তিনি কলিকাতার আড়াই ক্রোশ দূরে ভাগীরথীতীর সন্নিহিত এক ভবনে অবস্থিতি করেন। ঐ সময়ে তাঁহাকে কার্য্য বশতঃ প্রতিদিন বিচারালয়ে আসিতে হইত। তাঁহার জীবনবৃত্তলেখক সুশীল প্রজ্ঞাবান্ লার্ড টিনমৌথ কহেন যে তিনি প্রতিদিন সুর্য্যাস্তের পর এই স্থানে প্রত্যাগমন করিতেন; এবং এমন প্রত্যুষে গাত্রোত্থান করিতেন যে পদব্রজে আসিয়া অরুণোদয় কালে কলিকাতার আবাসে উপস্থিত হইতেন। তথায় উপস্থিতির পর ও বিচারালয়ের কার্য্যারম্ভ হইবার পূর্ব্ব যে সময় থাকিত তাহা রীতিমত পৃথক পৃথক্ অধ্যয়ন বিষয়ে নিয়োজিত ছিল। এই সময়ে তিনি, রাত্রি তিন চারিটার সময় শয্যা পরিত্যাগ করিতেন।