যথা নিয়মে সূর্য্যের চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করে। তাঁহারা সাহসপূর্ব্বক আপনাদিগের এই বিশুদ্ধ মত প্রচার করিয়াছিলেন; কিন্তু তৎকাল প্রচলিত ধর্ম্মশাস্ত্রের সহিত ঘোরতর বিসংবাদিতা প্রযুক্ত, সাধারণ লোকেরা যৎপরোনাস্তি বিদ্বেষ প্রদর্শন করাতে, বদ্ধমূল করিতে পারেন নাই।
চতুর্দ্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে ইটালি দেশে বিদ্যানুশীলনের পুনরারম্ভ হইলে,[১] সমুদায় বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্যোতির্ব্বিদ্যার কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ আদর হইতে লাগিল। কিন্তু তৎকালে যে মত প্রচলিত ছিল তাহা অরিষ্টটল, টলেমি ও অপরাপর প্রাচীন জ্যোতির্ব্বিদগণের অনুমোদিত প্রণালী অপেক্ষা বিশুদ্ধ ছিল না। তাহাতে এই সিদ্ধান্ত প্রতিপন্ন ছিল যে, সূর্য্য ও গ্রহমণ্ডল ভূমণ্ডলের চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করে। যাহা হউক, পরিশেষে এনাক্সিমেণ্ডর ও পিথাগোরসের সঙ্কল্পিত বিশুদ্ধ মত পুনরুজ্জীবিত হইবার শুভ সময় উপস্থিত হইল।
যে অধুনাতন পণ্ডিত পূর্ব্বনির্দিষ্ট বিলুপ্তপ্রায় বিশুদ্ধ মত পুনরুজ্জীবিত করেন, তাহার নাম নিকলাস কোপর্নিকস। তিনি, ১৪৭৩ খৃঃ অব্দে ফেব্রুয়ারির উনবিংশ
- ↑ পূর্ব্বকালে গ্রীসদেশে ও রোমরাজ্যে বিদ্যার বিলক্ষণ অনুশীলন ছিল। পরে রোমরাজ্যের উচ্ছেদ হইলে ক্রমে ক্রমে বিদ্যানুশীলমের লোপ হইয়া যায়। অনন্তর এই সময়ে ইটালি দেশে পুনর্ব্বার বিদ্যার অমুশীলন আরম্ভ হয়।