এবং বহুবিস্তৃত বিষয়কর্ম্ম নিৰ্বাহ করিয়া আপন শক্ত্যনুযায়িনী রচনা বিষয়ে প্রযত্নবান্ হইবার নিমিত্ত উপযুক্তরূপ অবকাশ পাইতেন তাহা হইলে তাঁহার কবিত্ব বিষয়েও অসাধারণ খ্যাতিলাভের ভূয়সী সম্ভাবনা ছিল। তিনি পরিবার ও পোষ্যবর্গের প্রতি যেরূপ ব্যবহার করিতেন তাহা অতি প্রশংসনীয়। তিনি স্বভাবতঃ বদান্য ও তেজস্বী ছিলেন।
সর উইলিয়ম জোন্সের নাম চিরস্মরণীয় করিবার নিমিত্ত ভারতবর্ষে ও ইংলণ্ডে নানা উপায় নিৰ্দ্ধারিত হইয়াছে। ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির অধ্যক্ষেরা সেণ্টপালের কাথিড্রলে তাঁহার এক কীর্ত্তিস্তম্ভ নির্মাণ করিয়া দিয়াছেন; এবং বাঙ্গালাতে এক প্রস্তরময়ী প্রতিমূর্ত্তি প্রেরণ করিয়াছেন। কিন্তু তাহার সহধর্ম্মিণী ১৭৯৯ খৃঃ অব্দে তদীয় সমুদায় গ্রন্থ সংগ্রহ করিয়া ছয় খণ্ড পুস্তকে যে মুদ্রিত ও প্রচারিত করিয়াছিলেন তাহাই তাঁহার পক্ষে সর্ব্বাপেক্ষা সমধিক প্রশংসনীয় ও অবিনশ্বর কীর্তি স্তম্ভ। তদ্ব্যতিরিক্ত ঐ বিধবা নারী আপন ব্যয়ে তাহার এক প্রস্তরময় প্রতিমূর্ত্তি নির্ম্মাণ করাইয়া অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্ত্তী গৃহে স্থাপিত করিয়াছেন।
সম্পূর্ণ।
.