উপকরণ সম্পন্ন হইয়া, স্বাবলম্বিত মত প্রমাণসিদ্ধ করিবার নিমিত্ত যে সমস্ত গবেষণা আবশ্যক, কয়েক বৎসর তৎসম্পাদন বিষয়ে মনোনিবেশ করেন। পরিশেষে ১৫৩০ খৃঃ অব্দে এক গ্রন্থ প্রস্তুত করিলেন; তাহাতে এই নূতন প্রণালী বিশেষ রূপে ব্যাখ্যাত হইল।
অন্যান্য লোক অপেক্ষা সমধিক জ্ঞানালোকসম্পন্ন বহুসংখ্যক বিদ্বান্ ব্যক্তিরা পূর্ব্বাবধি কোপর্নিকসের মত অবগত ছিলেন। এক্ষণে তাঁহারা সমুচিত সমাদর ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন পূর্ব্বক তাহা গ্রাহ্য করিলেন। এতদ্ভিন্ন সমুদায় লোক ও ধর্ম্মোপদেশকগণ অপেক্ষাকৃত অজ্ঞ ও কুসংস্কারাবিষ্ট ছিলেন; সুতরাং তাঁহাদের তদ্বিষয়ে শ্রদ্ধা জন্মিবার বিষয় কি।
পূর্ব্বকালীন লোকেরা বিচারের সময় চিরাগত কতিপয় নিৰ্দ্ধারিত নিয়মের অনুবর্তী হইয়া চলিতেন; সুতরাং স্বয়ং তত্ত্বনির্ণয় করিতে পারিতেন না, এবং অন্যে সুস্পষ্ট রূপে বুঝাইয়া দিলেও তাহা স্বীকার করিয়া লইতেন না। তৎকালীন লোকদিগের এই রীতি ছিল পূর্ব্বাচার্য্যেরা যাহা নির্দেশ করিয়া গিয়াছিলেন, কোন বিষয়, তাহার বিরুদ্ধ বা বিরুদ্ধবৎ আভাসমান হইলে, তাহা শুনিতে চাহিতেন না। বস্তুতঃ তাঁহারা কেবল প্রমাণ প্রয়োগেরই বিধেয় ছিলেন তত্ত্বনির্ণয়নিমিত্ত স্বয়ং অনুধ্যান বা বিবেচনা করিতেন না। ইহাতে এই ফল জম্মিয়াছিল নির্ম্মলমনীষাসম্পন্ন ব্যক্তিরা অভিজ্ঞতা বা অনুসন্ধান দ্বারা যে