পাতা:জীবনচরিত.djvu/২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গালিলিয়।
১১

এক দিবসও বিলম্ব না করিয়া, তদপেক্ষা অনেক অংশে উত্তম তথাবিধ এক যন্ত্র নির্ম্মা‌ণ করিলেন। এইরূপে দূরবীক্ষণের সৃষ্টি হইল। ইহা পদার্থবিদ্যাসংক্রান্ত যাবতীয় যন্ত্র অপেক্ষা অধিক উপকারক।

 গালিলিয়, এই দৃষ্টিপোষক নলাকার নূতন যন্ত্র নভোমণ্ডলে প্রয়োগ করিয়া দেখিতে পাইলেন, চন্দ্রমগুলের উপরিভাগ অত্যন্ত বন্ধুর; সুর্য্যমণ্ডল সময়ে সময়ে কলঙ্কিত লক্ষ হয়; ছায়াপথ কেবল সূক্ষতারকাস্তবক মাত্র; বৃহস্পতি পারিপার্শ্বি‌কচতুষ্টয়ে পরিবেষ্টিত; শুক্র গ্রহের চন্দ্রের ন্যায়, হ্রাস বৃদ্ধি আছে; শনৈশ্চরের উভয় পার্শ্বে‌ পক্ষাকার কোন পদার্থ আছে। ঐ পক্ষ এক্ষণে অঙ্গুরীয় বলিয়া সিদ্ধান্তিত হইয়াছে।

 বোধ হয়, গালিলিয় বহুকালাবধি মনে করিতেন নভস্তলস্থিত বস্তু সকল যেরূপ দেখিতে পাওয়া যায় বাস্তবিক সেরূপ নহে। কিন্তু কোন কালে যে এই রহস্যের মর্ম্মোদ্ভে‌দ করিতে পারিবেন তাঁহার এমন আশা ছিল না। এক্ষণে এই সকল বিষয় প্রকাশ করিয়া তাহার অন্তঃকরণ কি অভূতপূর্ব্ব চমৎকার ও অনির্ব্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইল তাহা কোন রূপেই অনুভব করিতে পারা যায় না।

 ১৬১১ খৃঃ অব্দে, যখন তিনি এই সকল বিষয়ের গবেষণাতে প্রবৃত্ত হন, তৎকালে টঙ্কানির অধীশ্বরের অনুরোধপরতন্ত্র হইয়া পিসা প্রত্যাগমন পূর্ব্বক, সমধিক