সপ্ত স্তুতি পাঠ করতে হইবেক। তাঁহার গ্রন্থ একবারেই প্রতিসিদ্ধ ও তাঁহার মত একান্ত অশ্রদ্ধিত হইল।
এইরূপে গালিলিয়ের প্রতি কারাগারাধিবাসের আদেশ হইলেও, কোন কোন বিচারকর্তারা বিবেচনা করিলেন তিনি যেরূপ বৃদ্ধ হইয়াছেন তাহাতে কোন ক্রমেই এরূপ গুরুতর দণ্ড সহ্য করিতে পরিবেন না। অতএব অনুকম্পা প্রদর্শনপূর্বক তাঁহাকে নিৰ্বাসিত করিয়া ফ্লোরেন্স সন্নিহিত কোন নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থিতি করিতে আজ্ঞা প্রদান করিলেন। তিনি কয়েক বৎসর তথায় থাকিয়া পদার্থবিদ্যার অনুশীলন দ্বারা কাল হরণ করিলেন।
গালিলিয় তৎকালে নেত্ররোগে অত্যন্ত অভিভূত হইয়াছিলেন। একটি চক্ষুঃ একবারেই নষ্ট হইয়া যায়, দ্বিতীয়ও প্রায় অকর্ম্মণ্য হয়; তথাপি, ১৬৩৭ খৃঃ অব্দে, চন্দ্রের তুলামান প্রকাশ করেন। শেষ দশায় তিনি অন্ধতা, বধিরতা, নিদ্রার অভাব ও সর্ব্বাঙ্গব্যাপিণী বেদনাতে অত্যন্ত অভিভূত ও বিকল হইয়াছিলেন; কিন্তু তাঁহার মন তৎকাল পর্যন্ত অনলস ও কর্ম্মণ্য ছিল। তিনি ১৬৩৮ খৃঃ অব্দে স্বয়ং লিখিয়াছেন, আমি অন্ধদশাতে একবার বিশ্বরচনাসংক্রান্ত এক বিষয় অনুধ্যান করি, আর বার আর বিষয়। আর যত যত্ন করিতেছি কোন রূপেই চঞ্চল চিত্তকে স্থির করিতে পারিতেছি না। এই সার্ব্বক্ষণিক চিত্তব্যাসঙ্গ দ্বারা আমার একবারেই নিদ্রার উচ্ছেদ হইয়াছে।