পাতা:জীবনচরিত.djvu/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২২
জীবনচরিত।

 এক দিবস তিনি উপবন মধ্যে উপবিষ্ট আছেন; এমন সময়ে দৈবযোগে তাঁহার সম্মুখবর্তী আতাবৃক্ষ হইতে এক ফল পতিত হইল। তদ্দ‌র্শনে তিনি তৎক্ষণাৎ বস্তুমাত্রের পতননিয়ামক সাধারণ কারণ বিষয়ক পর্য্য‌ালোচনায় প্রবৃত্ত হইলেন। অনন্তর এই বিষয় পুনর্ব্ব‌ার আলোচনা করিয়া স্থির করিলেন, যে কারণানুসারে আতা ভূতলে পতিত হইল সেই কারণেই চন্দ্র ও গ্রহমগুলী স্ব স্ব কক্ষে ব্যবস্থাপিত আছে এবং তাহাই পরমাদ্ভুত শক্তি সহকারে অতি সহজে সমুদায় জ্যোতিষ্কমণ্ডলীর গতি নিয়মিত করিতেছে। এইরূপে গুরুত্বের নিয়ম প্রকাশিত হইল। এই নিয়মের জ্ঞান দ্বারা জ্যোতির্ব্বিদ্যার অপেক্ষাকৃত অনেক শ্রীবৃদ্ধি হইয়াছে।

 নিউটন, ১৬৬৭ খৃঃ অব্দে, কেম্ব্র‌িজে প্রত্যাগমন করিয়া ত্রিনীতি বিদ্যালয়ের ছাত্রবৃত্তি প্রাপ্ত হইলেন। দুই বৎসর পরে, তাঁহার বন্ধু ডাক্তর বারো গণিত শাস্ত্রের অধ্যাপক পদ পরিত্যাগ করিলে, তিনি তাহাতে নিযুক্ত হইলেন। তিনি দৃষ্টিবিজ্ঞান বিষয়ে যে সকল অভিনব মহত্তর নিয়ম প্রকাশ করিয়াছিলেন প্রথমতঃ কিছুকাল তদ্বিষয়েই অধিকাংশ উপদেশ প্রদান করেন। আলোক ও বর্ণ বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান থাকাতে আপনার নূতন মত এমন পরিষ্কার রূপে বুঝাইয়া দিলেন যে শ্রোতৃবর্গেরা সন্তুষ্ট চিত্তে ভূরি ভূরি প্রশংসা করিয়াছিলেন।