১৬৭১ খৃঃ অব্দে, রএল সোসাইটী[১] নামক রাজকীয় সমাজের ফেলো অর্থাৎ সহযোগী হইলেন। কিন্তু প্রসিদ্ধ আছে অন্যান্য সহযোগীর ন্যায় সভার ব্যয় নিৰ্বাহার্থে প্রতি সপ্তাহে রীতিমত এক এক সিলিং দিতে অসমর্থ হওয়াতে তাঁহাকে অগত্যা অদানের অনুমতি প্রার্থনা করিতে হইয়াছিল। যেহেতু, তৎকালে বিদ্যালয়ের বৃত্তিও অধ্যাপকতার বেতন এতদ্ব্যতিরিক্ত তাঁহার আর কোন প্রকার অর্থাগম ছিল না। আর পৈতৃক বিষয় হইতে যে কিছু কিছু উৎপন্ন হইত তাহা তাঁহারর জননী ও অন্যান্য পরিবারের গ্রাসাচ্ছাদনেই পর্য্যবসিত হইত। তাহার ভোগভৃষ্ণা এত অল্প ছিল যে আবশ্যক পুস্তকের ও বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ক্রয় এবং অন্যের দারিদ্র্য দুঃখ বিমোচন এই উভয় সম্পন্ন হইলেই সন্তুষ্ট হইতেন, এতদ্ব্যতিরিক্তবিষয়ে অর্থাভাব জন্য ক্ষুণ্ণমনা হইতেন না।
১৬৮৩ খৃঃ অব্দে, তিনি প্রিন্সিপিয়া নামক অতি প্রধান গ্রন্থ রচনা করেন। ঐ পুস্তকে গণিত শাস্ত্রানু-
- ↑ ইংলণ্ডের অধীশ্বর দ্বিতীয় চালর্স্ পদার্থবিদ্যার উন্নতি নিমিত্ত, সপ্তদশ শতাব্দীতে, ইংলণ্ডের রাজধানী লণ্ডন নগরে এই সমাজ স্থাপন করেন। এই সমাজের লোকদিগকে ফেলো বলে। যাহার অসাধারণ বিদ্যাসম্পন্ন হয়েন তাঁহারাই এই সমাজের ফেলো হইতে পারেন। সমুদায়ে সমাজের ফেলে একুশ জন; তন্মধ্যে এক জন সভাপতি, এক জন সহকারী সভাপতি, এক জন ধনাধ্যক্ষ, এবং দুই জন সম্পাদক। এই রাজকীয় সমাজ দ্বারা পদার্থবিদ্যা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে অশেষবিধ মহোপকার জন্মিয়াছে।