নিউটন উদারস্বভাবতা প্রযুক্ত সামান্য সামান্য লৌকিক ব্যাপারেও বিশেষ অবহিত ছিলেন। সর্ব্বদা আত্মীয়গণের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইতেন এবং তাঁহারাও সাক্ষাৎ করিতে আসিলে সমুচিত সমাদর করিতেন। কথোপকথন কালে আত্মপ্রাধান্য প্রখ্যাপন করিতেন না। তিনি স্বভাবতঃ সুশীল, সরল ও প্রফুল্লচিত্ত ছিলেন; এই নিমিত্ত সকল ব্যক্তিই তাঁহার সহবাস বাসনা করিত। লোকের সর্ব্বদা যাতায়াত দ্বারা মহার্ঘ্য সময়ের অপক্ষয় হইলেও তিনি কিঞ্চিম্মাত্র বিরক্তভাব প্রকাশ করিতেন না। কিন্তু প্রত্যূষে গাত্রোত্থানের নিয়ম এবং বিশেষ বিশেষ কার্য্যে বিশেষ বিশেষ সময় নিরূপিত থাকাতে, অধ্যয়ন ও গ্রন্থরচনার নিমিত্ত সময়াল্পতানিবন্ধন কোন ক্ষোভ থাকিত না। তিনি অবসর পাইলেই হস্তে লেখনী ও সম্মুখে পুস্তক লইয়া বসিতেন।
নিউটন অত্যন্ত দয়ালু ও দানশীল ছিলেন এবং কহিতেন যাহারা জীবদ্দশায় দান না করে তাহাদের দান দানই নয়। অত্যন্ত বৃদ্ধ বয়সেও তদীয় অদ্ভুত ধীশক্তির কিঞ্চিন্মাত্র বৈলক্ষণ জন্মে নাই। আর আহারনিয়ম সার্ব্বকালিক প্রফুল্লচিত্ততা ও স্বাভাবিক শরীরপটুতা প্রযুক্ত জরা তাঁহাকে পরাভূত করিতে পারে নাই। তিনি নাতিদীর্ঘ, নাতিখর্ব্ব, কিঞ্চিৎ স্থূলকায় ছিলেন। তাঁহার নয়নে সজীবতা, তীক্ষ্ণতা ও বুদ্ধিমত্তা স্পষ্ট প্রকাশ পাইত। দেখিলেই তাঁহার আকৃতি সজীবতা ও দয়ালু-