এই নূতন বিদ্যার অনুশীলনে নিবিষ্টমনা হইলেন; এবং অল্প দিনের মধ্যেই তাহাতে এমন আসক্ত হইয়া উঠিলেন যে অবসর পাইলে অন্যান্য যে যে বিষয়ের আলোচনা করিতেন সে সমুদায় এই অনুরোধে এক বারেই পরিত্যক্ত হইল।
ইতিপূর্ব্বে হর্শেল, বেটস নামক এক ব্যক্তির নিকট বিশিষ্টরূপ পরিচিত হইয়াছিলেন। এক্ষণে তাঁহার প্রযত্নে ও আনুকূল্যে ১৭৬৫ খৃঃ অব্দের শেষ ভাগে হালিফাক্লের দেবালয়ে তূর্য্যাজীবের পদে নিযুক্ত হইলেন। পর বৎসর সামান্য রূপ তূর্য্য কর্ম্মের অনুরোধে জ্যেষ্ঠ সহোদরের সহিত বাথ নামক নগরে গমন করেন। তথায় অসাধারণ নৈপুণ্য প্রকাশ দ্বারা শুশ্রূষুদিগকে পরম পরিতোষ প্রদান করাতে, সেই নগরের এক দেবালয়ে তুর্য্যাজীবের পদ প্রাপ্ত হইলেন। অতএব তদবধি সেই স্থানে গিয়া অবস্থিতি করিলেন।
তিনি এক্ষণে যে পদে নিযুক্ত হইলেন তাহ নিতান্ত সামান্য নহে। এতদ্ব্যতিরিক্ত রঙ্গভূমি ও অন্যান্য স্থানে তুর্য্যপ্রয়োগ এবং শিষ্যমণ্ডলীকে শিক্ষাপ্রদানাদির উত্তম রূপ অবকাশ ও সুযোগ ছিল। অতএব অর্থে পার্জন যদি তাঁহার মুখ্য অভিপ্রায় হইত, তাহা হইলে, তিনি অবলম্বিত ব্যবসায় দ্বারা বিলক্ষণ সঙ্গতি করিতে পারিতেন। এইরূপে কর্ম্মের বাহুল্য হইলেও, বিদ্যানুশীলন বিষয়ে তাঁহার যে গাঢ়তর অনুরাগ ছিল, তাহার কিঞ্চি-