পাতা:জীবনচরিত.djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সর উইলিয়ম হর্শেল।
৩৩

ন্মাত্রও ব্যতিক্রম হইল না। প্রত্যহ তুর্য্য‌‌ বিষয়ে ক্রমাগত দ্বাদশ অথবা চতুর্দ্দ‌শ হোরা পরিশ্রম করিয়া অত্যন্ত ক্লান্ত হইতেন; কিন্তু তৎপরে এক মুহূর্ত্তও বিশ্রাম না করিয়া পুনর্ব্বার বিশুদ্ধ ও বিমিশ্র গণিত বিদ্যার অনুশীলন আরম্ভ করিতেন।

 এইরূপে ক্রমে ক্রমে রেখাগণিতে ব্যুৎপন্ন হইয়া উঠিলেন এবং তখন আপনাকে পদার্থবিদ্যার অনুশীলনে সমর্থ জ্ঞান করিলেন। পদার্থবিদ্যার নানা শাখার মধ্যে জ্যোতিষ ও দৃষ্টিবিজ্ঞান এই দুই বিষয়ে তাঁহার সবিশেষ অনুরাগ জন্মে। ঐ সময়ে জ্যোতিষসংক্রান্ত কতিপয় অভিনব আবিস্ক্র‌িয়া দর্শনে তাঁহার অন্তঃকরণে অত্যন্ত কৌতুহল উদ্বুদ্ধ হইল। তদনুসারে তিনি অবকাশ কালে উক্ত বিদ্যাবিষয়ক গবেষণাতে মনোনিবেশ করিলেন।

 গ্রহমণ্ডলীবিষয়ক যে যে অদ্ভুত ব্যাপার পুস্তকে পাঠ করিয়াছিলেন, সে সমস্ত স্বয়ং পর্য্যবেক্ষণ করিবার নিমিত্ত, কোন প্রতিবেশবাসীর সন্নিধান হইতে, একটি দ্বিপাদপ্রমিত দূরবীক্ষণ চাহিয়া আনিলেন। তদ্দ‌র্শনে অপরিসীম হর্ষ প্রাপ্ত হইয়া, ক্রয় করিবার বাসনায়, অবিলম্বে ইংলণ্ডের রাজধানী লণ্ডন নগর হইতে, তদপেক্ষায় অনেক বড় একটা আনাইবার উদ্যোগ করিলেন। কিন্তু তিনি যত অনুমান করিয়াছিলেন ও তাঁহার যত দিবার সঙ্গতি ছিল, তাহার মূল্য তদপেক্ষায় সমধিক হইবাতে