পাতা:জীবনচরিত.djvu/৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৪
জীবনচরিত।

ক্রয় করিতে পারিলেন না; সুতরাং যৎপরোনাস্তি ক্ষোভ পাইলেন। ক্ষোভ পাইলেন বটে; কিন্তু ভগ্নোৎসাহ হইলেন না—তৎক্ষণাৎ সেই অক্রেয় দূরবীক্ষণের তুল্যবল দূরবীক্ষণান্তর নির্ম্ম‌াণ স্বহস্তেই আরম্ভ করিলেন। এই বিষয়ে বারম্বার বিফলপ্রযত্ন হইয়াও তিনি পরিশেষে চরিতার্থতা লাভ করিলেন। প্রযত্ব বৈফল্য দ্বারা তাহার উৎসাহের উত্তেজনাই হইত।

 যে পথে হর্শে‌লের প্রতিভা দেদীপ্যমান হইবেক, এক্ষণে তিনি সেই পথের পথিক হইলেন। ১৭৭৪ খৃঃ অব্দে, তিনি স্বহস্তে নির্ম্মিত প্রাতিফলিক পাঞ্চপাদিক দূরবীক্ষণ দ্বারা শনৈশ্চর গ্রহ নিরীক্ষণ করিয়া অনির্ব্বচনীয় আনন্দ প্রাপ্ত হইলেন। দূরবীক্ষণ নির্ম্মাণ ও জ্যোতিষসংক্রান্ত আবিষ্ক‌্র‌িয়া বিষয়ে যে এতাবতী সাধীয়সী সিদ্ধিপরম্পরা ঘটিয়াছে এই তার সূত্রপাত হইল। হর্শে‌ল অতঃপর, বিদ্যানুশীলন বিষয়ে পূর্ব্বাপেক্ষায় অধিকতর অনুরাগসম্পন্ন হইয়া সমধিক সময় লাভ বাসনায়, অর্থলাভপ্রতিরোধ স্বীকার করিয়াও, স্বীয় ব্যবসায়িক কর্ম্ম ও শিষ্যসংখ্যার ক্রমে ক্রমে সঙ্কোচ করিতে লাগিলেন; এবং সর্ব্ব প্রথম যাদৃশ যন্ত্র নির্মাণ করিয়াছিলেন, অবকাশ কালে ব্যাপারান্তর বিরহিত হইয়া, তদপেক্ষায় অধিকশক্তিক যন্ত্রনির্ম্মাণে ব্যাপৃত রহিলেন। এইরূপে অচির কালের মধ্যেই সপ্ত, দশ ও বিংশতি পাদ আধিশ্রয়ণিক ব্যবধি বিশিষ্ট কতিপয় দূরবীক্ষণ নির্ম্মিত হইল।