পাতা:জীবনচরিত.djvu/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সর উইলিয়ম হর্শেল।
৩৫

 এইসকল যন্ত্রের মুকুর নির্ম্ম‌াণে তিনি অক্লিষ্ট অধ্যবসায় প্রদর্শন করিয়াছেন। সাপ্তপাদিক দূরবীক্ষণের জন্যে মনোমত একখানি মুকুর প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত, তিনি ক্রমে ক্রমে অন্য‌ূন দুই শত খান গঠন ও একে একে তৎপরীক্ষণ অবিরক্ত চিত্তে করিয়াছিলেন। যখন তিনি মুকুর নির্ম্ম‌াণে বসিতেন ক্রমাগত দ্বাদশ চতুর্দশ হোর পরিশ্রম করিতেন, মধ্যে এক মুহর্ত্তের নিমিত্তেও বিরত হইতেন না। অন্য কথা দূরে থাকুক আহারানুরোধেও প্রারব্ধ কর্ম্ম হইতে হস্তোত্তোলন করিতেন না। ঐ কালে তাঁহার সহোদরা যৎকিঞ্চিৎ যাহা মুখে তুলিয়া দিতেন তন্মাত্রই আহার হইত। তিনি এই আশঙ্কা করিতেন যে কর্ম্ম আরম্ভ করিয়া মধ্যেক্ষণমাত্রও ভঙ্গ দিলে সম্যক্‌ সমাধানের ব্যতিক্রম ঘটিতে পারে। তিনি মুকুর নির্ম্ম‌াণ বিষয়ে প্রচলিত নিয়মের নিতান্ত অনুবর্ত্তী না হইয়া স্বীয় বুদ্ধিকৌশলেই অধিকাংশ সম্পাদন করিতেন।

 হর্শে‌ল, ১৭৮১ খৃঃ অব্দের ১৩ই মার্চ, যে নুতন গ্রহের আবিষ্ক‌্রি‌য়া করেন বোধ হয় সর্ব্বাপেক্ষা তদ্দ্বা‌রাই লোক সমাজে সমধিক বিখ্যাত হইয়াছেন। তিনি ক্রমাগত প্রায় দেড় বৎসর রীতিমত নভোমণ্ডলের পর্য্যবেক্ষণে ব্যাপৃত ছিলেন। দৈবযোগে উল্লিখিত দিবসের সায়ং সময়ে সেই স্বহস্তবিনির্ম্মিত অত্যুৎকৃষ্ট সাপ্তপাদিক প্রাতিফলিক দূরবীক্ষণ নভোমণ্ডলৈকদেশে প্রয়োগ করিয়া এক নক্ষত্র দেখিতে পাইলেন। বোধ হইল, তৎসন্নিহিত