সমুদায় নক্ষত্র অপেক্ষা তাহার প্রভা স্থিরতর। উক্ত হেতু প্রযুক্ত ও তদীয় আকারগত অন্যান্য বৈলক্ষণ্য দর্শনে, সংশয়ান হইয়া তদ্বিষয়ে সবিশেষ অভিনিবেশ পুর্ব্বক পর্যবেক্ষণ আরম্ভ করিলেন। কতিপয় হোরার পর পুনর্ব্বার পর্যবেক্ষণ করাতে উহা স্থান পরিত্যাগ করিয়াছে ইহা স্পষ্ট অনুভব করিয়া, তিনি সাতিশয় বিস্ময়াবিষ্ট হইলেন। পর দিন এই বিষয়ে অনেক সন্দেহ দূর হইল। প্রথমতঃ তাঁহার অন্তঃকরণে এই সংশয় উপস্থিত হইয়াছিল যে পূর্ব্ব পূর্ব্ব বারে যাহা দেখিয়াছি ইহা সেই নক্ষত্র কি না। কিন্তু ক্রমাগত আর কয়েক দিবস পর্য্যবেক্ষণ করাতে তদ্বিষয়ক সমুদায় দ্বৈধ অন্তৰ্হিত হইল।
অনন্তর এই সমুদায় ব্যাপার রাজকীয় জ্যোতির্ব্বিদ ডাক্তর মাস্কিলিনের গোচর করিলেন। তিনি আদ্যোপান্ত বিবেচনা করিয়া এই সিদ্ধান্ত করিলেন ইহা নূতন ধূমকেতু না হইয়া যায় না। কিন্তু আর কয়েক মাস ক্রমিক পর্য্যবেক্ষণ করাতে এই ভ্রান্তি নিরাকৃত হইল। এবং তখন স্পষ্ট বোধ হইল যে ইহা এক অনাবিষ্কৃতপূর্ব্ব নুতন গ্রহ, ধূমকেতু নহে। আমাদের অধিষ্ঠানভূতা পৃথিবী যে সৌর জগতের অন্তর্গত এই নূতন গ্রহও তদন্তর্ব্বর্ত্তী[১]। তৎকালে তৃতীয় জর্জ ইংলণ্ডের অধী-
- ↑ সূর্য্যসিদ্ধান্ত প্রভৃতির মতে পৃথিবী স্থিরা; আর সূর্য্য, চন্দ্র, মঙ্গল, বুধ প্রভৃতি গ্রহগণ তাহার চতুর্দ্দিকে পরিভ্রমণ করে। কিন্তু অধুনাতন ইয়ুরোপীয় পণ্ডিতেরা যে অখণ্ডনীয় অভ্রান্ত সিদ্ধান্ত