অধিকশক্তিক প্রাতিফলিক দূরবীক্ষণনির্ম্মণবিষয়ে কতিপয় মহোপকারিণী সুবিধা প্রদর্শন করেন। তিনি স্লোনামক স্থানে, ইংলণ্ডেশ্বরের নিমিত্ত চত্বারিংশৎ পাদ দীর্ঘ যে দূরবীক্ষণ প্রস্তুত করেন তাহাই সর্ব্বাপেক্ষায় বৃহৎ। ১৭৮৫ খঃ অব্দের শেষে, তিনি এই অতিবৃহৎ নল নির্ম্মাণ করিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন। পরে, ১৭৮৯ খৃঃ অব্দে ২৭এ আগষ্ট, এক যন্ত্রোপরি সন্নিবেশিত হইয়া ব্যবহারযোগ্য হইল। ঐ যন্ত্র অতিশয় জটিল বটে কিন্তু প্রগাঢ়তর বুদ্ধিকৌশলে সম্পাদিত। উহা দ্বারা ঐ নলের সঞ্চালনাদি ক্রিয়া নিয়মিত হইত। শনৈশ্চরের ষষ্ঠ পারিপার্শ্বিক বলিয়া যাহাকে সকলে অনুমান করিত সন্নিবেশ দিবসেই সেই দূরবীক্ষণ দ্বারা তাহা উদ্ভাবিত হইল। কিয়দ্দিনানন্তর ঐ নল দ্বারা শনৈশ্চরের সপ্তম পারিপার্শ্বিকও আবিষ্কৃত হয়। এক্ষণে ঐ নল স্বস্থান হইতে অপসারিত হইয়াছে এবং তৎপরিবর্তে হর্শেলের সুবিখ্যাত পুত্রের হস্তবিনির্ম্মিত অত্যুৎকৃষ্ট অন্য এক দূরবীক্ষণ তথায় স্থাপন করা গিয়াছে। ইহা দৈর্ঘ্যে পুর্ব্বযন্ত্রের অৰ্দ্ধেকের অধিক নহে।
ইহা নির্দিষ্ট আছে এই প্রধান জ্যোতির্ব্বিদ, স্বাভিলষিত বিদ্যার আলোচনা বিষয়ে এমন অনুরক্ত ছিলেন যে অনেক বৎসর পর্য্যন্ত নক্ষত্রদর্শনযোগ্য কালে কখনই শয্যারূঢ় থাকিতেন না; আর কি শীত কি গ্রীষ্ম, সকল ঋতুতেই নিজ উদ্যানে অনাবৃত প্রদেশে প্রায় একাকী