কন্যা ছিল। গ্রোশ্যস ১৬০৮ খৃঃ অব্দে ঐ কামিনীর পাণিগ্রহণ করেন। এই রমণী রমণীয় গুণগ্রাম দ্বারা গ্রোশ্যসের যোগ্য ছিলেন এবং গ্রোশ্যসের সহধর্ম্মিণী হওয়াতে তাঁহার গুণের সমুচিত সমাদর হইয়াছিল। কি সম্পত্তি, কি বিপত্তি, সকল সময়েই তাঁহারা পরস্পর অবিচলিত সদ্ভাবে ও যৎপরোনাস্তি প্রণয়ে কাল যাপন করিয়াছিলেন। কিঞ্চিৎ পরেই দৃষ্ট হইবেক নিগৃহীত স্বামীর ক্লেশশান্তি বিষয়ে ঐ পতিপ্রাণ রমণীর ঐকান্তিক প্রণয়ের কি পর্য্যন্ত উপযোগিতা হইয়াছিল।
গ্রোশাস অত্যন্ত কুৎসিত সময়ে ভূমণ্ডলে আসিয়াছিলেন। ঐ কালে জনসমাজ, ধর্ম্ম ও দণ্ডনীতি বিষয়ক বিষম বিসংবাদ দ্বারা সাতিশয় বিসঙ্কুল ছিল। মনুষ্য মাত্রেই ধর্ম্মসংক্রান্ত বিবাদে উন্মত্ত এবং ভিন্ন ভিন্ন পক্ষের ঔদ্ধত্য ও কলহপ্রিয়তা দ্বারা সৌজন্য, দয়া ও দক্ষিণ্য একান্ত বিলুপ্ত হইয়াছিল। গ্রোশ্যস, আর্ম্মিনিয় সাম্প্রদারিক[১]ও সর্ব্বতন্ত্রপক্ষীয়[২]ছিলেন। তিনি
- ↑ খৃষ্টধর্মাবলম্বীদিগের মধ্যে আর্মিনিয়স্ নামে একব্যক্তি এক নূতন সম্প্রদায় প্রবর্ত্তিত করেন। প্রবর্ত্তকের নামানুসারে ইহার নাম আর্ম্মিনিয় সম্প্রদায় হইয়াছে অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকদিগের সহিত এই নূতন সম্প্রদায়ের অনুযায়ী লোকদিগের অত্যন্ত বিরোধ ছিল।
- ↑ যেখানে রাজা নাই সর্ব্বসাধারণ লোকের মতানুসারে যাবতীয় রাজকার্য্য নিৰ্বাহ হয় তাহাকে সর্ব্বতন্ত্র বলে। সর্ব্ব সর্ব্বসাধারণ; তন্ত্র রাজ্যচিন্তা।