পাতা:জীবনচরিত.djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
গ্রোশ্যস।
৪৫

 গ্রোশ্যস সন্নিহিত নগরবত্তী বন্ধুবর্গের নিকট হইতে পাঠার্থ পুস্তকানয়নের অনুমতি পাইয়াছিলেন। পাঠসমাপ্তির পর সেই সকল পুস্তক করণ্ডকমধ্যগত করিয়া প্রতিপ্রেরিত হইত। ঐ সমভিব্যাহারে তাঁহার মলিন বস্ত্রও ক্ষালনার্থে রজকালয়ে যাইত। প্রথমতঃ রক্ষকেরা তন্ন তন্ন করিয়া ঐ করণ্ডকের বিষয়ে অনুসন্ধান করিত; কিন্তু কোন বারেই সন্দেহোদ্বোধক বস্তু দৃষ্টিগোচর না হওয়াতে ক্রমে ক্রমে শিথিলপ্রযত্ন হয়। গ্রোশ্যসের পত্নী, রক্ষিগণের ক্রমে ক্রমে এইরূপ অযত্ন প্রাদুর্ভাব দেখিয়া, পতিকে সেই করণ্ডকমধ্যগত করিয়া স্থানান্তরিত করিবার উপায় কল্পনা করিতে লাগিলেন। বায়ু প্রবেশার্থে তাহাতে কতিপয় ছিদ্র প্রস্তুত করিলেন; এবং গ্রোশ্যস এইরূপ সংক্ষিপ্ত স্থানের মধ্যে রুদ্ধ হইয়া কতক্ষণ পর্য্যন্ত থাকিতে পারেন ইহাও পরীক্ষা করিতে লাগিলেন। অনন্তর এক দিবস দুর্গাধ্যক্ষের অসন্নিধানরূপ সুযোগ দেখিয়া তাঁহার সহধর্ম্মিণীর নিকটে গিয়া নিবেদন করিলেন আমার স্বামী অত্যধিক অধ্যয়নদ্বারা শরীরপাত করিতেছেন; অতএব আমি রাশীকৃত সমুদায় পুস্তক এককালে ফিরিয়া দিতে বাসনা করি।

 এইরূপ প্রার্থনাদ্বারা তাঁহার সম্মতি লাভ হইলে, নিরূপিত সময়ে গ্রোশ্যস করণ্ডকমধ্যে প্রবেশ করিলেন। অনন্তর দুই জন সৈনিকপুরুষ অধিরোহণী দ্বারা অতি কষ্টে করণ্ডক অবতীর্ণ করিল। ঐ করণ্ডক সমধিক-