অনুরোধ করেন। কিন্তু গ্রোশ্যস, প্রাকৃত জনের ন্যায়, তাঁহার সমুদায় প্রস্তাবে সম্মত না হওয়াতে, তিনি তাঁহাকে অধীনতানিবন্ধন বিস্তর ক্লেশ দিয়াছিলেন। গ্রোশ্যস এইরূপে নিতান্ত হতাদর হইয়া স্বদেশ প্রত্যাগমনার্থে অতিশয় উৎসুক হইলেন। তদনুসারে ১৬২৭ খৃঃ অব্দে তাঁহার সহধর্ম্মিণী বন্ধুবর্গের সহিত পরামর্শ করিয়া কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য স্থিরীকরণার্থ হলণ্ড প্রস্থান করিলেন।
গ্রোশ্যস প্রত্যাগমন বিষয়ে প্রাড়্বিবাকদিগের অনুমতি লাভ করিতে পারিলেন না। কিন্তু তৎকালে দণ্ডনীতি বিষয়ে যে নিয়ম পরীবর্ত্ত হইয়াছিল, তাহার উপর নির্ভর করিয়া, স্বীয় সহধর্ম্মিণীর উপদেশানুসারে, সাহস পূর্ব্বক রটর্ডাম নগরে উপস্থিত হইলেন। যৎকালে তাঁহার নামে বিচারালয়ে অভিযোগ হইয়াছিল, তখন তিনি কোন প্রকারেই অপরাধ স্বীকার ও ক্ষমা প্রার্থনা করিতে চাহেন নাই; বিশেষতঃ, এমন দৃঢ় রূপে আত্মপক্ষ রক্ষা করিয়াছিলেন যে তাঁহার বিপক্ষেরা অত্যন্ত অপদস্থ ও অবমানিত হয়; অতএব তাহারা তৎকাল পর্য্যন্ত তাঁহার পক্ষে খড়্গহস্ত হইয়াছিল। কতকগুলি লোক তাঁহার প্রতি আনুকূল্য প্রদর্শন করিয়াছিলেন। কিন্তু প্রাড়্বিবাকের এই ঘোষণা করিয়া দিলেন,যে ব্যক্তি গ্রোশাসকে রুদ্ধ করিয়া দিতে পারিবেক সে উপযুক্ত পুরস্কার প্রাপ্ত হইবেক। গ্রোশ্যসের জন্মভূমি বলিয়া যে দেশের মুখ উজ্জ্বল হইয়াছে, তত্রত্য লোকেরা তাঁহার প্রতি এইরূপ নৃশংস ব্যবহার করিল।