তিনি হলণ্ড পরিত্যাগ করিয়া,হম্বৰ্গ নগরে গিয়া দুই বৎসর অবস্থিতি করিলেন। তথায় অবস্থান কালে, সুইডেনের রাজ্ঞী ক্রিষ্টিনার অধিকারে বিষয় কর্ম্ম স্বীকারে সম্মত হওয়াতে, রাজ্ঞী তাঁহাকে ফ্রান্সের রাজসভায় দৌত্যকার্য্যে নিযুক্ত করিলেন। তিনি তথায় দশ বৎসর অবস্থিতি করেন। ঐ সময়ে কতিপয় উৎকৃষ্ট গ্রন্থ রচনা করিয়াছিলেন। উক্ত কাল পরেই, নানা কারণ বশতঃ দৌত্যপদ দুরূহ ও কষ্টপ্রদ বোধ হওয়াতে, বিরক্ত হইয়া কর্ম্ম পরিত্যাগ প্রার্থনায় আবেদন করিলেন। তাঁহার প্রার্থনা গ্রাহ্য হইল। সুইডেনে প্রত্যাগমন কালে হলণ্ডে উপস্থিত হইলেন। তাঁহার দেশীয় লোকেরা পুর্ব্বে তাঁহার প্রতি অত্যন্ত অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করিয়াছিল; এক্ষণে বিশিষ্টরূপ সমাদর করিল।
তিনি সুইডেনে উপস্থিত হইয়া, ক্রিষ্টিনাকে সমস্ত কাগজ পত্র বুঝাইয়া দিয়া, লুবেক প্রত্যাগমনে প্রবৃত্ত হইলেন। কিন্তু পথিমধ্যে অত্যন্ত দুর্যোগ হওয়াতে প্রত্যাবৃত্ত হইতে হইল। পরিশেষে, নিতান্ত অধৈর্য্য হইয়া, ঝড় বৃষ্টি না মানিয়া,এক অনাবৃত শকটে আরোহণ পুর্ব্বক প্রস্থান করিলেন। এই অবিমৃষ্যকারিতাদোষেই তাঁহার আয়ুঃশেষ হইল। রষ্টক পর্যন্ত গমন করিয়া তাঁহাকে বিরত হইতে হইল। এবং ঐ স্থানেই, ১৬৪৫ খৃঃ অব্দে, আগষ্টের অষ্টাবিংশ দিবসে, ত্রিষষ্টি বৎসর বয়ঃক্রম কালে প্রিয়তমা পত্নী এবং ছয়