শয় বিনয় পরতন্ত্র হইয়া চিকিৎসাবিদ্যা শিক্ষার্থে অনুমতি দিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তাঁহার,না পুস্তক, না বস্ত্র, না আহারসামগ্রী, কিছুরই সঙ্গতি ছিল না; এমন কি অভীষ্ট উদ্ভিদবিদ্যার অনুশীলন সমাধানার্থে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে ভ্রমণ করিতে পারিবার নিমিত্ত, জীর্ণ চর্ম্মপাদুকাতে বল্কলের তালী দিয়া লইতে হইত। এরূপ দুরবস্থাতেও তিনি প্রতিপত্তি লাভ করিতে লাগিলেন।
লিনিয়স কেবল যৌবনদশায় অবতীর্ণ হইয়াছেন এমন সময়ে অপ্সালের বৈজ্ঞানিক বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষেরা তাঁহাকে এই অভিপ্রায়ে লাপ্লাণ্ডের অতি ভীষণ ভূভাগে পাঠাইবার নিমিত্ত স্থির করেন যে তিনি তত্রত্য নিসর্গোৎপন্ন বস্তু সমুদায়ের তত্ত্ব নিৰ্দ্ধারণ করিয়া আনিবেন। তিনিও অনুরাগ ও ব্যগ্রতা প্রদর্শন পুর্ব্বক পাথেয় মাত্র পর্য্যাপ্ত বেতনে উক্ত বহুপরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার সমাধানার্থ এই প্রান্তর দেশে প্রস্থান করিলেন। তথা হইতে প্রত্যাগমনের পর অপ্সালের বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভিদ ও ধাতু বিদ্যা বিষয়ে উপদেশ দিতে আরম্ভ করিলেন। উপদেষ্টব্য বিষয়ে সম্পূর্ণ অধিকার এবং উপদেশ প্রচারের চমৎকারত্ব ও অভিনবত্ব প্রযুক্ত চতুর্দ্দিকে ভূরি ভূরি শ্রোতৃ সমাগম হইল।
কিন্তু উদয়োন্মুখী প্রতিভার নিত্যবিদ্বেষিণী ঈর্ষা, তাঁহার অভ্যুদয়াশা ত্বরায় উচ্ছিন্ন করিল। ইহা উদ্ভাবিত হইল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম আছে কোন ব্যক্তি অগ্রে