ভ্রমণ করিলেন। ফলতঃ তিনি এই সময়ে বিদ্যোপার্জ্জন বিষয়ে যে রূপ অসাধারণ পরিশ্রম ও ষত্ব করিয়াছিলেন শুনিলে অসম্ভব বোধ হয়। বাস্তবিক, পদার্থ বিদ্যা সংক্রান্ত এমন কোন বিষয় ছিল না যে তিনি তাহার তত্ত্বানুসন্ধানে প্রবৃত্ত হয়েন নাই আর তাহা শৃঙ্খলাবদ্ধ করেন নাই। কিন্তু উদ্ভিদবিদ্যার অনুশীলনেই সর্ব্বাপেক্ষা অধিক রত ছিলেন এবং ঐ বিদ্যায় এমন প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছেন যে উহার লোপ না হইলে তাঁহার সেই প্রতিষ্ঠার অপক্ষয় সম্ভাবনা নাই।
লিনিয়স,১৭৩৮ খৃঃ অব্দে,কিছু দিনের জন্যে পারিস যাত্রা করেন। ঐ বৎসরের শেষে তিনি স্বদেশ প্রত্যাগমন পুর্ব্বক ষ্টকহলম নগরে চিকিৎসা ব্যবসায় আরম্ভ করিলেন। প্রথমে সকলে তাঁহাকে অবজ্ঞা করিত। কিন্তু পরিশেষে সৌভাগ্যোদয় বশতঃ রাজ্ঞী ইলিয়োনোরার কাসের চিকিৎসায় কৃতকার্য্য হওয়াতে তদবধি তন্নগরের অতি আদরণীয় চিকিৎসক হইয়া উঠিলেন, সামুদ্রিক সৈন্য সম্পৰ্কীয় চিকিৎসক এবং রাজকীয় উদ্ভিদবিদের পদে নিযুক্ত হইলেন। এইরূপে নিয়মিত আয় ব্যবস্থাপিত হইলে পরম্পরানুরাগসঞ্চারের পাঁচ বৎসর পরে সেই প্রিয়তমা কামিনীর পাণিপীড়ন করিলেন।
কিয়দ্দিবস পরেই লিনিয়স অপ্সলের বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়ুর্ব্বেদের অধ্যাপক নিযুক্ত হইলেন। ঐ সময়ে তাঁহার পূর্ব্বশত্রু রোজিন উক্ত বিদ্যালয়ে উদ্ভিদ বিদ্যার অধ্যা-