পকের পদে নিযুক্ত হওয়াতে উভয়ে সদ্ভাব পুর্ব্বক পরম্পরের পদ বিনিময় করিয়া লইলেন। এইরূপে লিনিয়স চিরপ্রার্থিত উদ্ভিদবিদ্যাধ্যাপকপদে অধিরূঢ় হইয়া অতি সম্মান পূর্ব্বক ক্রমাগত সপ্তত্রিংশৎ বৎসর উক্ত কার্য্য নির্ব্বাহ করিয়াছিলেন।
লিনিয়সের উদ্যোগে কয়েক জন নব্য পণ্ডিত নিসর্গোৎপন্ন পদার্থ গবেষণার্থ দেশে দেশে প্রেরিত হয়েন। কালম, অসবেক, হসল্কিষ্ট ও লোফ্লিং এই কয়েক ব্যক্তি প্রাকৃত ইতিবৃত্ত বিষয়ে যে নানা আবিষ্ক্রিয়া করিয়া গিয়াছেন, পদার্থবিদ্যার শ্রীবৃদ্ধি বিষয়ে লিনিয়সের যে প্রগাঢ় অনুরাগ ও আগ্রহাতিশয় ছিল তাঁহাই তাহার মূল কারণ। ড্রটনিংহলম নগরে সুইডেনের রাজমহিষীর যে চিত্রশালিকা ছিল, তিনি তাহার সবিশেষ বিবরণ প্রস্তুত করিবার নিমিত্ত লিনিয়সের উপর ভারার্পণ করেন। তিনিও তদনুসারে তত্রত্য সমুদায় শঙ্খ শম্বূকাদির বিজ্ঞানশাস্ত্রানুযায়িনী নুতন শৃঙ্খলা স্থাপন করেন। বোধ হয়,১৭৫১ খৃঃ অব্দে, তিনি ফিলসফিয়া বোটানিকা অর্থাৎ উদ্ভিদমীমাংসা নামে গ্রন্থ প্রকাশ করেন। পরে ১৭৫৪ খৃঃ অব্দে, স্পিশিস প্লাণ্টেয়ম অর্থাৎ উদ্ভিদসংবিভাগ নামে গ্রন্থ রচনা ও প্রচার করেন। এই গ্রন্থে তৎকালবিদিত নিখিল তরু গুল্মাদির সবিশেষ বিবরণ লিখিত হইয়াছে। এই গ্রন্থ লিনিয়সের অন্যান্য গ্রন্থ অপেক্ষ উৎকৃষ্ট ও অবিনশ্বর।