বিরক্ত করিতেন। কিন্তু এই সকল প্রশ্নের যে উত্তর পাইতেন তাহা যে সন্তোষজনক হইত না ইহা বলা বাহুল্যমাত্র। সামান্যবৃদ্ধি লোকের সামান্য বস্তুকে সামান্য জ্ঞানই করিয়া থাকে। কিন্তু অসামান্যবৃদ্ধিসম্পন্নেরা কোন বস্তুকেই সামান্য জ্ঞান করেন না। এই নিমিত্তেই সর্ব্বদা এরূপ ঘটিয়া থাকে যে প্রাকৃত লোকের মহানুভাবদিগের বুদ্ধির প্রথম কার্য্য সকল দেখিয়া উন্মাদ জ্ঞান করে।
এক দিবস ডুবাল কোন পল্লীগ্রামস্থ বালকের হস্তে ঈসপ রচিত গল্পের পুস্তক অবলোকন করিলেন। ঐ পুস্তক পশু,পক্ষী, সৰ্প প্রভৃতি নানাবিধ জন্তুর প্রতিমূর্ত্তিতে অলঙ্কৃত ছিল। এ পর্যন্ত ডুবালের বর্ণ পরিচয় হয় নাই সুতরাং পুস্তকে কি লিখিত ছিল তাহার বিন্দু বিসর্গও অনুধাবন করিতে পারিলেন না। যে সকল জন্তু দেখিলেন তাহাদিগের নাম জানিতেও তত্তদ্বিষয়ে ঈসপ কি লিখিয়াছেন তাহা শুনিতে অত্যন্ত কৌতুহলাক্রান্ত ও ব্যগ্রচিত্ত হইয়া,আপন সমক্ষে সেই পুস্তক পাঠকরিবার নিমিত্ত স্বীয় সহচরকে অত্যন্ত অনুরোধ করিতে লাগিলেন। কিন্তু সেই বালক কোন ক্রমেই তাঁহার বাসনা পূর্ণ করিল না। ফলতঃ তাঁহাকে সর্ব্বদাই এইরূপে কৌতুহলাক্রান্ত ও পরিশেষে একান্ত বিষাদ প্রাপ্ত হইতে হইত।
এইরূপে যৎপরোনাস্তি ক্ষোভ প্রাপ্ত হইয়া,এতাদৃশ