পক্ষী,লাঙ্গুলদ্ধয়োপলক্ষিত কেশরী ও অন্যান্য বিকটাকার অদ্ভুত জন্তু নিরীক্ষণ করিয়া আশ্রমাগত কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করিলেন পৃথিবীতে এবম্বিধ জীব আছে কিনা। তিনি কহিলেন কুলাদর্শ নামে এক শাস্ত্র আছে এই সমস্ত তাহার সঙ্কেত। শ্রবণ মাত্র ঐ শব্দটী লিখিয়া লইলেন এবং অতি সত্বর হইয়া নিকটবর্ত্তী নগর হইতে উক্ত বিদ্যার এক পুস্তক ক্রয় করিয়া আনিলেন এবং অবিলম্বে তদ্বিষয়ের বিশেষজ্ঞ হইয়া উঠিলেন।
জ্যোতির্ব্বিদ্যা ও ভূগোলবৃত্তান্ত অধ্যয়নে ডুবাল অত্যন্ত অনুরক্ত ছিলেন। তিনি সর্ব্বদাই সন্নিহিত বিপিন মধ্যে নির্জ্জন প্রদেশ অন্বেষণ করিয়া লইতেন এবং একাকী তথায় অবস্থিত হইয়া নির্ম্মল নিদাঘরজনীর অধিকাংশ জ্যোতির্মগুল পর্য্যবেক্ষায় যাপন করিতেন ও মস্তকোপরি পরিশোভমান মৌক্তিকময় নভোমণ্ডলের বিষয় সমধিক রূপে জানিতে মনোরথ করিতেন—যেরূপ অবস্থা,মনোরথের অধিক আর কি ঘটিতে পারে। জ্যোতির্গণের বিষয় বিশিষ্ট রূপে জানিতে পারবেন এই বাসনায় অত্যুন্নত ওকবৃক্ষ শিখরোপরি বন্যদ্রাক্ষা ও উইলো শাখার পরস্পর সংযোজনা করিয়া সারসকুলায়সন্নিভ একপ্রকার বসিবার স্থান নির্ম্মাণ করিলেন।
ডুবালের ক্রমে ক্রমে যত জ্ঞান বৃদ্ধি হইতে লাগিল পুস্তক বিষয়েও তত আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি হইতে লাগিল। কিন্তু পুস্তক ক্রয়ের যে নিৰ্দ্ধারিত উপায় ছিল তাহার সেরূপ