রাজকুমার এই উত্তর শ্রবণে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হইলেন; এবং রাজধানীতে প্রত্যাগমন পূর্ব্বক,ডুবালের যথানিয়মে সৎপণ্ডিত ও সদুপদেশকের নিকট বিদ্যাধ্যয়ন সমাধানের নিমিত্ত, নিজ পিতা ডিউককে সম্মত করিয়া, পোণ্টে মৌসলের জেসুটদিগের সংস্থাপিত বিদ্যালয়ে তাহাকে পাঠাইয়া দিলেন।
ডুবাল তথায় দুই বৎসর অবস্থিতি করিয়া জ্যোতিষ, ভূগোল, পুরাবৃত্ত ও পৌরাণিক বিষয় সকল অধিক রূপে অধ্যয়ন করিলেন। তদনন্তর ১৭১৮ খৃঃ অব্দের শেষভাগে ডিউকের পারিস যাত্রাকালে তদীয় সম্মতিক্রমে তৎসমভিব্যাহারে গমন করিলেন, এই অভিপ্রায়ে যে তত্রত্য অধ্যাপকদিগের নিকট শিক্ষা প্রাপ্ত হইতে পারিবেন। অনন্তর পর বৎসর তিনি তথা হইতে লুনিবিলে প্রত্যাগমন করিলে, ডিউক মহাশয় তাহাকে সহস্র মুদ্রা বেতনে আপনার পুস্তকালয়ের অধ্যক্ষ ও সাত শত মুদ্রা বেতনে বিদ্যালয়ে পুরাবৃত্তের অধ্যাপক নিযুক্ত করিলেন এবং কোন বিষয়ে কোন নিয়মে বদ্ধ না করিয়া সচ্ছন্দে রাজবাটীতে অবস্থিতি করিতে অনুমতি দিলেন।
তিনি পুরাবৃত্তে যে উপদেশ দিতে লাগিলেন তাহাতে এমন সুখ্যাতি হইল যে অনেকানেক বৈদেশিকেরাও শুশ্রূষাপরবশ হইয়া লুনিবিলে আসিয়াছিলেন।
ডুবাল স্বভাবতঃ অত্যন্ত বিনীত ও লোকরঞ্জন ছিলেন। তিনি, আপনার পূর্বতন হীন অবস্থার কথা উত্থাপন