হইলে তদুপলক্ষে কিঞ্চিন্মাত্রও লজ্জিত বা ক্ষুব্ধ না হইয়া, এবং সেই অবস্থায় যে, মনের সচ্ছন্দে কালযাপন করিতেন ও ক্রমে ক্রমে জ্ঞানের উপচয় সহকারে অন্তঃকরণ মধ্যে যে নব নব ভাবাদয় হইত সেই সমস্ত বর্ণনা করিতে করিতে অপর্য্য়াপ্ত প্রীতি প্রাপ্ত হইতেন।
তিনি প্রথমসংগৃহীত বহুসংখ্যক অর্থ দ্বারা সেণ্ট এনের আশ্রম পুননির্ম্মাণ করিয়া দেন এবং তথায় আপনার নিমিত্তেও এক গৃহনির্ম্মাণ করান। অনন্তর,তরুতলে উপবিষ্ট হইয়া রাজকুমারগণ ও তাঁহাদিগের অধ্যাপক দিগের সহিত যেরূপে কথোপকথন করিয়াছিলেন,কোন নিপুণতর চিত্রকর দ্বারা,সেই অবস্থা ব্যঞ্জক এক আলেখ্য প্রস্তুত করাইলেন এবং ডিউকের সম্মতি লইয়া স্বপ্রত্যবেক্ষিত পুস্তকালয়ে স্থাপন করিলেন। কিয়ৎকাল পরে জন্মভূমি দর্শন বাসনা পরবশ হইয়া তথায় গমন করিলেন এবং যে ভবনে জন্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন তাহা তত্রত্য শিক্ষকের ব্যবহারার্থে প্রশস্তরূপে নির্ম্মাণ করাইলেন; আর গ্রামস্থ লোকের জলকষ্ট নিবারণার্থে নিজ ব্যয়ে অনেক কূপ খনন করাইয়া দিলেন।
১৭৩৮ খৃঃ অব্দে, ডিউকের মৃত্যুর পর তদীয় উত্তরাধিকারী লোরেনের বিনিময়ে টস্কানির আধিপত্য গ্রহণ করিলে,রাজকীয় পুস্তকালয় ফোরেন্স নগরে নীত হইল। ডুবাল তথায় পূর্ব্ববৎ পুস্তকাধ্যক্ষের কার্যনির্ব্বাহ করিতে
১০