লাগিলেন। তাঁহার অভিনব প্রভু, হঙ্গরির রাজ্ঞীর পাণি গ্রহণ দ্বারা অত্যুন্নত সম্রাট পদ প্রাপ্ত হইয়া, বিয়েনার পুরাতন ও নূতন টঙ্ক, পৃথিবীর অন্যান্য ভাগ প্রচলিত সমুদায় টঙ্ক সংগ্রহ করিবার বাসনা করিলেন। ডুবালের টঙ্কবিজ্ঞান বিদ্যা বিষয়ে অত্যন্ত অনুরাগ ছিল। অতএব তাঁহাকে উক্ত টঙ্কালয়ের অধ্যক্ষ নিযুক্ত করিলেন; এবং রাজপল্লী মধ্যে রাজকীয় প্রাসাদের অদূরে তঁহার বাস স্থান নির্দ্দিষ্ট করিয়া দিলেন। ডুবাল প্রায় সপ্তাহে এক দিন মহারাজ ও রাজমহিষীর সহিত ভোজন করিতেন।
এইৰূপে অবস্থার পরিবর্ত্ত হইলেও তাঁহার স্বভাব ও চরিত্রের কিঞ্চিন্মাত্র পরিবর্ত্ত হইল না। ইউরোপের এক অত্যন্ত বিষয়রস পরায়ণ নগরে থাকিয়াও, তিনি লোরেনের অরণ্যে যেৰূপ ঋজুস্বভাব ও বিদ্যোপার্জ্জনে একাগ্র ছিলেন, সেই ৰূপই রহিলেন। রাজা ও রাজ্ঞী তাঁহার রমণীয় গুণগ্রামের নিমিত্ত অত্যন্ত প্রীত ও প্রসন্ন ছিলেন; এবং তাহার প্রমাণ স্বৰূপ তাঁহাকে ১৭৫১ খৃঃ অব্দে, আপন পুত্রের উপাচার্য্য়ের পদ প্রদান করেন। কিন্তু তিনি কোন কারণ বশতঃ এই সম্মানের পদ অস্বীকার করিলেন। রাজসংসারে তাঁহার গতিবিধি এত অল্প ছিল যে, কোন কোন রাজকুমারীকে কখন নয়নগোচর করেন নাই, সুতরাং তিনি তাঁহাদিগকে চিনিতেন না। পরে সময় বিশেষে এই কথা উত্থাপন হইলে এক রাজকুমার কহিয়াছিলেন ডুবাল যে আমার ভগিনী-