আসিয়া অতি ত্বরায় সেই প্রদেশের প্রচলিত ভাষা উচ্চারণের সমুদায় নিয়ম সহিত শিক্ষা করিয়াছিলেন। ল-র বাটীতে যে কয়েক বৎসর অবস্থিতি করিয়াছিলেন তন্মধ্যে কিছুকাল রাখালের কর্ম্ম করেন। তৎপরে এক প্রকার তৃণ শকটপুর্ণ করিয়া হাউয়িকে বিক্রয় করিতে লইয়া যাইতেন। এই কর্ম্ম এমন উত্তমরূপে নির্ব্বাহ করিতেন যে গৃহস্বামী তাহার প্রতি অত্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন।
জেকিন্স দৃঢ়কায় হইলে পর, ফলনাসনিবাসী লেডল। নামক এক ব্যক্তি কোন অনির্ণীত হেতু বশতঃ তাঁহার প্রতি সদয় হইয়া সেই গৃহস্বামীর নিকট প্রার্থনাপূর্ব্বক আপন বাটীতে আনিয়া রাখিলেন। কৃষ্ণকায় জেকিন্স ফলনাসে আসিয়া সকল কর্মই করিতে লাগিলেন; কখন রাখাল হইতেন,কখন বা মন্দুরায় কর্ম্ম করিতেন; ফলতঃ তিনি কর্ম্মমাত্রেই হস্তার্পণ করিতে পারিতেন। তাঁহার বিশেষ কর্ম্ম এই নির্দিষ্ট ছিল যে, সর্ব্বপ্রকার সংবাদ লইয়া হাউয়িকে যাইতে হইত। অত্যন্ত মেধা থাকাতে তিনি এই কর্ম্মে বিশেষ উপযুক্ত ছিলেন। অনন্তর তিনি ঐ লেডলার এক জন প্রকৃত কৃষাণ হইয়া উঠিলেন।
এই সময়েই বিদ্যা শিক্ষা বিষয়ে তাঁহার প্রথম অনুরাগ জমে। তিনি প্রথম কিরূপে শিক্ষা করিয়াছিলেন সে বিষয় জ্ঞাত নহে। বোধ হয় এই বালকের বিদ্যা শিক্ষা বিষয়ে অবশ্যকর্ত্তব্যতা বোধ ছিল; এবং এইরূপ দুরবস্থায় যত দূর হইতে পারে পিতার মানস পূর্ণ করিবার
১১