আলস্য বা ঔদাস্য করিতেন না। এই নিমিত্ত তাঁহার নিযোগ্যেরা অত্যন্ত সমাদর করিতেন এবং জ্ঞানোপার্জ্জন বিষয়ে তাঁহার অদৃষ্টপূর্ব্ব উৎসাহ দর্শনে ব্যক্তিমাত্রেই মুগ্ধ ছিলেন। তাঁহার স্বদেশ ভাষার বিন্দুবিসর্গও মনে না থাকাতে স্কটলণ্ডের দক্ষিণাঞ্চলের সামান্য কৃষকদিগের সহিত শরীরের বর্ণ ব্যক্তিরিক্ত কোন বিষয়েই বিভিন্নতা ছিল না। কিন্তু এই মাত্র বিশেষ যে তিনি তাহাদিগের প্রায় সকল অপেক্ষা সমধিক বিদ্যাসম্পন্ন ছিলেন এবং বিদ্যানুশীলন দ্বারা সময় যাপন করিতেন। খৃষ্টোপদিষ্ট ধর্ম্মে তাঁহার দ্রঢ়ীয়সী শ্রদ্ধা ছিল এবং ধর্ম্মসংক্রান্ত প্রত্যেক বিধি প্রতিপালনে তিনি অত্যন্ত অবহিত ছিলেন। সমুদায় পর্য্যালোচনা করিলে বোধ হয় জেঙ্কিন্স অত্যুৎকৃষ্ট উপাদানে নির্ম্মিত। আর তিনি বিদ্যালাভের নিমিত্ত যে অশেষ প্রকার প্রয়াস পাইয়াছিলেন তাহা গণনা না করিলেও সর্ব্বত্র আদৃত ও প্রিয় হইতেন, সন্দেহ নাই।
জেঙ্কিন্সের বিংশতিবর্ষ বয়ঃক্রম কালে টিবিয়ট হেডের পাঠশালায় শিক্ষকের পদ শূন্য হয়। উক্ত কৃষকবহুল জনপদের নিবাসিগণের শিক্ষার্থে যে পাঠশালা ছিল ইহা তাহার শাখা স্বরূপ। এই বিষয়ে জেটবর্গের যাজকগণের উপর এই ভারার্পণ হইল যে তাঁহারা কোন এক দিন হাউয়িকে সমাগত হইয়া কর্ম্মাকাঙ্ক্ষীদিগের পরীক্ষা করিয়া অধ্যক্ষবর্গের নিকট বিজ্ঞাপনী প্রেরণ করিবেন।