পাতা:জীবনরক্ষক - প্রথম ভাগ.pdf/১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

১২৮১ সালের ফাল্গুন মাসের আর্য্যদর্শনের সমালোচনা।

জীবনরক্ষক।

 সুবিখ্যাত ডাক্তার শ্রীযুক্ত হরিশ্চন্দ্র শর্ম্মা প্রণীত। নূতন ভারতযন্ত্রে মুদ্রিত। হস্তমৈথুন বা অনৈসর্গিক উপায়ে রেতঃপাতনে মনুষ্যের যে সকল ভয়ঙ্কর অনিষ্ট সংঘটিত হয়, সেই সকলের বর্ণন দ্বারা বালক ও যুবকবৃন্দকে সর্ব্বসংহারকারি হস্তমৈথুনের হস্ত হইতে মুক্ত করা এই ক্ষুদ্র গ্রন্থের উদ্দেশ্য। অনেক শান্তশীল সচ্চরিত্র যুবক— যাহারা বেশ্যাগমন নরক গমনের সদৃশ মনে করে— এই ভীষণ অভ্যাসের দাস হইয়া জন্মের মত আত্মসুখে জলাঞ্জলি দেয়। সেই সকল যুবক যদি সময়ে জানিতে পারে যে হস্তমৈথুন বেশ্যাগমন অপেক্ষা সহস্র গুণে গুরুতর পাপ, তাহা হইলে তাহারা অবশ্যই ইহা হইতে বিরত হইতে পারে। বালক ও যুবকবৃন্দ যখন প্রথমে এই ভীষণ অভ্যাসের দাস হয়, তখন তাহারা মনে করে ইহা একটা নির্দ্দোষ আমোদমাত্র। এই সময় যদি তাহাদিগকে বলিয়া দেওয়া যায় যে এই আমোদ হইতে তাহাদিগের ভাবি সুখের আশা সমূলে উন্মূলিত হইবে, তাহা হইলে নিশ্চয়ই তাহারা এই কুঅভ্যাসের অনুসরণ হইতে বিরত হইবে। পিতা মাতা বা অভিভাবকগণ যদি নিজ মুখে এই সকল কথা বলিতে লজ্জা বোধ করেন, তাহা হইলে তাঁহাদিগের অধীন বালক ও যুবকবৃন্দের হস্তে ডাক্তার হরিশ্চন্দ্র শর্ম্মার জীবনরক্ষক অর্পণ করিয়া তাহাদিগকে ঘোরতর ভাবি দুর্গতি হইতে রক্ষা করিবেন। এই কর্ত্তব্যের অকরণে তাঁহারা জগতের শত্রু বলিয়া পরিগণিত হইবেন।