পাতা:জীবনরক্ষক - প্রথম ভাগ.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৫ )

‘ত্রিংশদ্বর্ষো বহেৎ কন্যাং হৃদ্যাং দ্বাদশবার্ষিকীম্। ত্র্যষ্টবর্ষোহষ্টবর্ষাম্বা ধর্ম্মে সীদতি সত্বরঃ॥’

 অর্থাৎ “দ্বাদশবর্ষীয়া কন্যার সহিত ৩০ বৎসর বয়স্ক পুরুষের এবং অষ্টমবর্ষীয়া কন্যার সহিত ২৪ বৎসর বয়স্ক পুরুষের বিবাহ হওয়া উচিত। অন্যথা ধর্ম্মহানির সম্ভাবনা।” বোধহয় হিন্দুজাতি ক্রমে ক্রমে এই নিয়মের পরিবর্ত্তন করাতেই এতদূর হীন-বীর্য্য ও নিস্তেজ হইয়াছে।

 এ দেশ ক্রমে ক্রমে পূর্ব্বাপেক্ষা অধিকতর উষ্ণপ্রধান হইয়া উঠিয়াছে। উষ্ণপ্রধান দেশে অল্প বয়ঃক্রমেই মনুষ্যের ইন্দ্রিয়াদির চাঞ্চল্য উপস্থিত হয়। এই জন্যই বোধ হয়, অল্প বয়সে বিবাহের প্রথা এদেশে ক্রমে প্রচলিত হইয়া উঠিয়াছে। যাহা হউক এদেশের বর্তমান অবস্থাতেও একবিংশতি বৎসর বয়ঃক্রমের পূর্ব্বে সাধারণতঃ পুরুষের স্ত্রীসংসর্গ করা কোন ক্রমেই উচিত নহে।

 দুর্ভাগ্যবশতঃ অল্পবয়ঃক্রমে যাহাদিগের বিবাহ