পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গেঁথে গেছে গরলের পাত্র চুমুকিয় ; রুদ্রতরবার তব উঠুক নাচিয়া উচ্ছিষ্টের কলেজীয়, অশিব-স্বপনে, হে জলধি, শবদভেদী উগ্র অগস্ফালনে । --পূজাথালা হাতে ল’য়ে আসিয়াছে কত পান্থ, কত পথবালা সহৰ্ষে সমুদ্রতীরে ; বুকে যার বিষমাখা শায়কের জ্বালা সে শুধু এসেছে বন্ধু চুপে চুপে একা । অন্ধকারে একবার দুজনার দেখা ! বৈশাখের বেলাতটে সমুদ্রের স্বর,— অনন্ত, অভঙ্গ, উষ্ণ, আনন্দসুন্দর । তারপর, দূরপথে অভিযান বাহি চলে যাব জীবনের জয়গান গাহি’ । দেশবন্ধু বাংলার অঙ্গনেতে বা জগয়েছ নটেশের রঙ্গমল্লী গণথ অশান্ত সস্তান ওগো,—বিপ্লবিনী পদ্মণ ছিল তব নদী-মণত । কাল বৈশাখীর দোলা অনিবার দুলাইত রক্তপুঞ্জ তব উত্তাল উর্মির তালে, - বক্ষে তব লক্ষ কোটী পন্নগ-উৎসব উদ্যত ফণর নৃত্যে আস্ফালিত ধূর্জটির কণ্ঠ-নাগ জিনি’, ত্র্যম্বক-পিণকে তব শঙ্কাকুল ছিল সদা শত্রু অক্ষৌহিণী । স্পর্শে তব পুরোহিত, ক্লেদে প্রাণ নিমেষেতে উঠিত সঞ্চারি’, এসেছিলে বিষ্ণুচক্র মর্মস্তদ,--ক্লৈব্যের সংহারী । ভেঙেছিলে বাঙালীর সর্বনাশী সুয়ুপ্তির ঘোর, ভেঙেছিলে ধূলিশ্লিষ্ট শঙ্কিতের শৃঙ্খলের ডোর, ভেঙেছিলে বিলাসের সুরভিাণ্ড তীব্ৰদৰ্পে,—বৈরাগের রাগে, দাড়ালে সন্ন্যাসী যবে প্রাচীমঞ্চে—পৃথ্বী-পুরোভাগে । নবীন শাক্যের বেশে, কটাক্ষেতে কাম্য পরিহরি' ভাসিয়া চলিলে তুমি ভারতের ভাব-গঙ্গোত্তরী আর্ত অস্পৃশ্যের তরে, পৃথিবীর পঞ্চমার লাগি ; বাদলের মন্দ্র সম মন্ত্র তব দিকে দিকে তুলিলে বৈরাগী । ১০১