পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আজি এই শতাব্দীতে সকলেরই জীবনের হৈমন্ত সৈকতে বালির উপরে ভেসে আমাদের চিন্তা কাজ সংকল্পের তরঙ্গ কঙ্কাল দ্বীপসমুদ্রের মতো অস্পষ্ট বিলাপ ক’রে তোমাকে আমাকে অন্তহীন দ্বীপহীনতার দিকে অন্ধকারে ডাকে । কেবলি কল্লেtল আপলো,—জ্ঞান প্রেম পূর্ণতর মানবহৃদয় সনাতন মিথ্যা প্রমাণিত হয়ে—তবু—উনিশ শো অনন্তের জয় হয়ে যেতে পারে, নারি, অামাদের শতাব্দীর দীর্ঘতর চেতনার কাছে আমরা সজ্ঞান হয়ে বেঁচে থেকে বড় সময়ের সাগরের কুলে ফিরে আমাদের পৃথিবীকে যদি প্রিয়তর মনে করি প্রিয়তম মৃত্যু অবধি — সকল আলোর কাজ বিষন্ন জেনেও তবু কাজ ক'রে—গানে গেয়ে লোকসাধারণ ক’বে দিতে পারি যদি অালোর মানে । নারীসবিতা আমবা যদি রাতের কপাট খুলে ফেলে এই পৃথিবীর নীল সাগরের বারে প্রেমের শরীর চিনে নিতাম চারিদিকের রোদের হাহাকারে,— হওয়ায় তুমি ভেসে যেতে দখিণ দিকে -যেই খানেতে যমের দুয়ার আছে অভিচার বাতাসে বুক লবণ-বিলুষ্ঠিত হলে আবার আমার কাছে উৎরে এসে জানিয়ে দিতে পাখিদেরও——শাদা পাখিদেরও স্থলন অাছে । আমরা যদি রাতের কপাট খুলে দিতাম নীল সাগরের দিকে, বিষন্নতার মুখের কারুকার্যে বেলা হারিয়ে যেত জ্যোতির মোজেয়িকে । দিনের উজান রোদের ঢলে যতটা দূর আকাশ দেখা যায় তোমার পালক শাদ অারো শাদা হয়ে অমেয় নীলিমায় ঐ পৃথিবীর সাটিনপর দীর্ঘ গড়ন নারীর মতো—তবুও তো এক পাখি ; সকল অলাত ইতিহাসের হৃদয় ভেঙে বৃহৎ সবিতা কি ! যা হয়েছে যা হতেছে সকল পরখ এইবারেতে নীল সাগরের নীড়ে গুড়িয়ে সূর্য নারী হল, আকুলপাথার পাখির শরীরে । షిdby