পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গভীর রৌদ্রে সীমান্তের এই ঢেউ—অতিবেল সাগর, নারি, শাদা হতে হতে নীলাভ হয় ;–প্রেমের বিসার, মহিয়সি, ঠিক এ-রকম আধা নীলের মতো, জ্যোতির মতো । মানব ইতিহাসের অাধেক নিয়ন্ত্রিত পথে অমর বিজোড ; তাই তো দুধের-বরণ-শাদা পাখির জগতে অন্ধকারের কপাট খুলে শুকতারাকে চোখে দেখার চেয়ে উড়ে গেছি সেীরকরের সিড়ির বহির শ্রয়িত পেয়ে । অনেক নিমেষ আই পুথিবীর কাটা গোলাপ শিশিরকণা মৃতের কথা ভেবে তবু আরো অনঙ্ককাল বসে থাকা যেত ; তবু সময় কি তা দেবে । সময় শুধু বালির ঘড়ি সচল ক’রে বেবিলনের দুপুরবেলার পরে হৃদয় নিয়ে শিপ্রী নদীর বিকেলবেল হিরণ সূর্যকরে খেলা ক’রে না ফুরোতেই কলকাতা রোম বৃহৎ নতুন নামের বিনিপাতে উড়ে যেতে বলে অণমণয় তোমার প্রাণের নীল সাগরের সাথে । না হলে এই পৃথিবীতে আলোর মুখে অপেক্ষাতুর বসে থাকা যেত পাতা ঝরার দিকে চেয়ে অগণ্য দিন,— কীটে মৃণালকাটায় অনিকেত শাদ রঙের সরোজিনীর মুখের দিকে চেয়ে, কী এক গভীর ব’সে থাকার বিষণ্ণতার কিরণে ক্ষয় পেয়ে, নারি, তোমায় ভাবা যেত। —বেবিলনে নিভে নতুন কলকাতাতে কবে ক্রান্তি, সাগর, সূর্য জ্বলে অনাথ হতিহাসের কলরবে । উত্তর সামরিকী অণকাশের থেকে অালো নিভে যায় ব’লে মনে হয় । আবার একটি দিন আমাদের মৃগতৃষ্ণার মতো পৃথিবীতে শেষ হয়ে গেল তবে ;–শহরের ট্রাম উত্তেজিত হয়ে উঠে সহজেই ভবিতব্যতার যাত্রীদের বুকে নিয়ে কোন এক নিরুদ্দেশ কুড়োতে চলেছে । এই দিকে পায়দলদের ভিড়—আই দিকে টর্চের মশালে বার-বার যে যার নিজের নামে সকলের চেয়ে অাগে নিজের নিকটে S&షి