পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তবুও শ্মশান থেকে দেখেছি চকিত রৌদ্রে কেমন জেগেছে শালিধান ; ইতিহাস-ধূলো-বিষ উৎসারিত ক’রে নব নবতর মানুষের প্রাণ প্রতিটি মৃত্যুর স্তর ভেদ ক’রে এক তিল বেশি চেতনার আভা নিয়ে তবু খাচণর পাখির কাছে কী নীলাভ অ কাশ-নির্দেশী ! হয়তো এখনে । তাই ;--তবু রাত্রি শেষ হলে রোজ পতঙ্গ-পালক-পাত শিশির-নিঃসৃত শুভ্র ভোরে আমরা এসেছি অণজ অনেক হিংসাব খেল। অবসান ক’বে ; অনেক দ্বেষের ক্লান্তি মৃত্যু দেখে গেছি । আজো তবু অ। জো ঢের গ্লানি-কলঙ্কিত হয়ে ভাবি : রক্তনদীদের পারে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতির শোকাবহ অঙ্ক কঙ্কালে কি মাছি তোমাদের মৌমাছির নী৬ অল্পায়ু সোনালি রৌদ্রে ; প্রেমের প্রেরণ নেই--শুধু নিঝরিত শ্বাস পণ্যজাত শরীরের মৃত্যু-স্নান পণ্য ভালোবেসে ; তবুও হয়তো আজ তোমরা উড্ডীন নব সূর্যের উদ্দেশে । ইতিহাস-সঞ্চারিত হে বিভিন্ন জাতি, মন, মানব-জীবন, এই পৃথিবীর মুখ যত বেশি চেনা যায় - চলা যায় সময়ের পথে, তত বেশি উত্তরণ সত্য নয়,—জানি ; তবু জ্ঞানের বিষয়লোক আলো অধিক নির্মল হলে নটীর প্রেমের চেয়ে ভালো সফল মানব প্রেমে উৎসারিত হয়, যদি, তবে নব নদী নব নাড নগরী নীলিমা সৃষ্টি হবে । আমরা চলেছি সেই উজ্জ্বল সূর্যের অনুভবে । একটি কবিতা অামার আকাশ কালো হতে চায় সময়ের নির্মম অপঘাতে ; জানি, তবু ভোরে রাত্রে, এই মহাসময়েরই কাছে >ዊ®