পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাস নয়টি হাসকে রোজ চোখ মেলে ভোরে দেখা যায় জল পাইপল্লবের মতো স্নিগ্ধ জলে ; তিনবার তিন গুনে নয় হয় পৃথিবীর পথে ; এর। তবু নয় জন মায়াবীর মতো জাদুবলে । সে-নদীর জল খুব গভীর—গভীর ; সেইখানে শাদা মেঘ—লঘু মেঘ এসে দিনমানে কারো নিচে ডুবে গিয়ে তবু যেতে পারেন গকে কোনো সময়ের শেষে । চারিদিকে উ"চু উঁচু উলুবন, ঘাসের বিছানা ; অনেক সময় ধ'রে চুপ থেকে হেমস্তের জল প্রতিপন্ন হ’য়ে গেছে যে-সময়ে নীলা কণশ ব’লে সুদূরে নগরীর কোলে তখন হাসের দলবল মিশে গেছে অপরাহ্লে রোদের ঝিলিকে ; অথবা ঝাপির থেকে অমেয় খইয়ের রঙ ৰারে ; সহসা নদীর মতে প্রতিভাত হ’য়ে যায় সব ; নয়টি অমল ইণস নদীতে রয়েছে মনে পড়ে । উন্মেষ কোথাও নদীর পারে সময়ের বুকে— দণ্ড্রায়ে রয়েছে অt জো সাবেক কালের এক স্তিমিত প্রাসাদ দেয়ালে একটি ছবি ঃ বিচারসাপেক্ষ ভাবে নৃসিংহ উঠেছে ; কোথাও মঙ্গল সংঘটন হ’য়ে যাবে অচিরাৎ । ૨૩