পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

○0 চেয়ে দাখে মানুষের দুঃখ, ক্লাস্তি, দীপ্তি, অধঃপতনের সীমা ; উনিশশো বেয়াল্লিশ সালে ঠেকে পুনরায় নতুন গরিম। পেতে চায় ধোয়া, রক্ত, অন্ধ আধারের খাত বেয়ে ; ঘাসের চেয়েও বেশি মেয়ে ; নদীর চেয়েও বেশি উনিশশো তেতাল্লিশ, চুয়াল্লিশ, উৎক্রান্ত পুরুষের হাল ; কামশনের উধেব রৌদ্রে নীলাকাশে আমল মরাল ভারতসাগর ছেড়ে উড়ে যায় অন্য এক সমুদ্রের পানে— মেঘের ফোটার মতো স্বচ্ছ, গড়গনে ; সুবাতাস কেটে তারা পালকের পাখি তবু ; ওরা এলে সহসা রোদের পথে অনন্ত পণরূলে ইস্পাতের সূচীমুখ ফুটে ওঠে ওদের কাধের পরে, নীলিমার তলে ; অবশেষে জাগরূক জনসাধারণ অণজ চলে ? বিরংসা, অন্যায়, রক্ত, উৎকোচ, কানায়ুষো, ভয় চেয়েছে ভাবের ঘরে চুরি বিনে জ্ঞান ও প্রণয় ? মহাসাগরের জল কখনো কি সংবিজ্ঞাতার মতো হয়েছিলো স্থিরনিজের জলের ফেনশির নাড়কে কি চিনেছিলো তনুবাত নীলিমার নিচে ? না হ’লে উচ্ছল সিন্ধু মিছে ? তবুও মিথ্যা নয় : সাগরের বালি পাতালের কালি ঠেলে সময়সুখ্যাত গুণে অন্ধ হ’য়ে, পরে আলোকিত হ’য়ে গেলে ।