পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাষিত আমার এ-জীবনের ভোরবেলা থেকে—- সে-সব ভূখণ্ড ছিল চিরদিন কণ্ঠস্থ আমার ; একদিন অবশেষে টের পাওয়া গেল আমাদের দু-জনার মতো দাড়াবাব তিল ধারণের স্থান তাহাদের বুকে আমাদের পরিচিত পৃথিবীতে নেই । একদিন দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞানের সাথে পথ ধ’রে ফিরে এসে বাংলার পথে র্দা ডাতেই দেখা গেল পথ অাছে,—ভোরবেলা ছডায়ে রয়েছে,-- দক্ষিণ, পশ্চিম, পূর্ব, উত্তরের দিক একটি কৃষাণ এসে বার-বার অামাকে চেনায় ; আমার হৃদয় তবু অস্বাভাবিক । পরিচয় নেই তার,—পরিচিত হয় না কখনো , রবিফসলের দেশে (রীদ্রের ভিতরে মনে হয় সুচেতনা, তোমারে হৃদয়ে ভুল এসে সত্যকে অনুভব করে । ձ সময়ের নিরুৎসুক জিনিসের মতো— অামার নিকট থেকে অণজো বিংশ শতাব্দীতে তোমাকে ছাড়ায়ে ডান পথ খুলে দিলো ব’লে মনে হ’লো, যখন প্রচুরভাবে চলে গেছি বায়ে । এ-রকম কেন হ’য়ে গেল তবে সব বুদ্ধের মৃত্যুর পরে কন্ধি এসে দাড়াবার আগে । একবার নির্দেশের ভূল হ’য়ে গেলে আবার বিশুদ্ধ হ’তে কতদিন লাগে ? জীবনানন্দ (২য় )—৩ OV)