পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যদি বলি, তারা সব তোমাদের চেয়ে ভালো আছে ; অসৎপাত্রের কাছে তবে তারা অন্ধ বিশ্বাসে কথা বলেছিলো ব’লে দুই হাত সতর্কে গুটীয়ে হ’য়ে ওঠে কী যে উচাটন । কুকুরের ক্যানারির কান্নার মতন ঃ তাজা ন্যাকড়ার ফালি সহসা ঢুকেছে নালি ঘায়ে । ঘরের ভিতর কেউ খোয়ারি ভাঙছে ব’লে কপাটের জং নিরস্ত হয় না তার নিজের ক্ষয়ের ব্যবসায়ে, আগাগোড়া গৃহকেই চোঁচির করেছে বরং ; অরেঞ্জপিকোর ঘ্রাণ নরকের সরায়ের চায়ে ক্রমেই অধিক ফিকে হ’য়ে আসে ; নানারূপ জ্যামিতিক টশনের ভিতরে স্বৰ্গ মর্ত্য পাতালের কুয়াশার মতন মিলনে একটি গভীর ছায়া জেগে ওঠে মনে ; অথবা তা ছায়া নয়—জীব নয় সৃষ্টির দেয়ালের পরে । আপাদমস্তক আমি তার দিকে তাকীয়ে রয়েছি ; গর্গ্যার ছবির মতো—তবু গগার চেয়ে গুরু তাত থেকে বেরিয়ে সে না কচোখে কচিৎ ফুটেছে টায়ে টায়ে ; নিভে যায় জ্ব’লে ওঠে, ছায়া, ছাই, দিব্যযোনি মনে হয় তাকে । স্বাতিতারা শুকতারা সূর্যের ইস্কুল খুলে সে-মানুষ নরক বা মর্ত্যে বাহাল হ’তে গিয়ে বৃষ মেষ বৃশ্চিক সিংহের প্রাতঃকাল । ভালোবেসে নিতে যায় কন্যা মীন মিথুনের কূলে ।