পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

®२ হে মানুষ,—সময়ের সাগরের নিরঞ্জন-ফাকি চিনে নিয়ে বিমলিন নাবিকের মতন একাকী হ’লেও সে হ’তো, তবু পৃথিবীর বড়ো রৌদ্রে— আরো প্রিয়তর জনতায় ‘নেই এই অনুভব জয় ক’রে আনন্দে ছড়ায়ে যেতে চায় । জর্নান্তিকে তোমাকে দেখার মতো চোখ নেই—তবু গভীর বিস্ময়ে আমি টের পাই—তুমি অণজে। এই পৃথিবীতে র’য়ে গেছ । কোথাও সান্তুন নেই পুথিবীতে অণজ ; বহুদিন থেকে শান্তি নেই । নীড় নেই পাখিরো মতন কোনো হাঁদ য়ের তরে । পাখি নেই । মানুষের হৃদয়কে না জাগালে তাকে ভোর, পাখি, অথবা বসন্তকাল ব’লে আজ তার মানবকে কী ক’রে চেনাতে পারে কেউ । চারিদিকে অগণন মেশিন ও মেশিনের দেবতার কাছে নিজেকে স্বাধীন ব’লে মনে ক’রে নিতে গিয়ে তবু মানুষ এখনও বিশৃঙ্খল । দিনের অণলেণর দি কে তণ কালেই দেখা যায় লেণক কেবলি আহত হ’য়ে মৃত হ’য়ে স্তব্ধ হয় ; এ ছাড়া নির্মল কোনো জননীতি নেই । যে-মানুষ—যেই দেশ টিকে থাকে সে-ই ব্যক্তি হয়—রাজ্য গড়ে—সাম্রাজ্যের মতো কোনো ভূম চায় । ব্যক্তির দাবিতে ত ই সাম্রাজ্য কেবলি ভেঙে গিয়ে