পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি কবি,--সেই কবি আমি কবি,—সেই কবি,— আকাশে কাতর আঁখি তুলি হেরি ঝরা পালকের ছবি ! আনমনা আমি চেয়ে থাকি দূর তিঙািল মেঘের পানে । মেীন নীলের ইসারায় কোন কামনা জাগিছে প্রাণে । বুকের বাদল উথলি উঠিছে কোন কাজরীর গানে । দাদুরী-কাদানে শাঙন-দরিয়া হৃদয়ে উঠিছে দ্রবি’ ! স্বপন সুরার ঘোরে আখের ভুলিয়া আপনারে আমি রেখেছি দিওয়ান করে’ ! জনম ভরিয়া সে কোন হেঁয়ালি হ’লে না অামার সাধা,— পায় পায় নাচে জিঞ্জির হায়,—পথে পথে ধায় ধাধা ! --নিমেষে পাসরি এই বসুধার নিযুতি মানার বাধা স। রাটি জীবন খেয়ালের খোশে পেয়ালা রেখেছি ভরে’ ! ভূয়ের চাপাটি চুমি শিশুর মতন,—শিরীষের বুকে নীরবে পড়ি গো নুমি’ ! ঝ উয়ের কাননে মিঠা মাঠে মাঠে মটর ক্ষেতের শেষে তোতার মতন চকিতে কখন আমি আসিয়াছি ভেসে’ ! —ভাটিয়াল সুর সাঝের আঁধারে দরিয়ার পারে মেশে,-- বালুর ফরাসে ঢালু নদীটির জলে ধোয় ওঠে ধূমি’। বিজন তারার সাঝে আমার প্রিয়ের গজল-গানের রেওয়াজ বুঝি বা বাজে । পড়ে আছে হেথা ছিন্ন নীবার, পাখীর নষ্ট নীড । হেথায় বেদনা মা-হারা শিশুর, শুধু বিধবার ভিড় ! কোন যেন এক সুদূর আকাশ গোধূলিলোকের তাঁর কাছের বেলায় ডাকিছে আমারে, ডাকে আকাজের মাঝে !