পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শান্তি জীবন কি নীরন্ত সম্রাট এক সন্ধাখোর। কুট ব্যবসায়ী নীল পাশবচরগুলো তার মৃত্যুর উৎবস ? মানুষের তরে তবে কোন পথ ঃ । কোন অন্তরিক্ষে তারে নিয়ে যাবে আসন্ন সময় ? সেইখানে বালঘড়ি, বলো, তবে স্তবধতার মতো ঃ একদিন বাতাসের সাথে ঢের ধবনিবিনিময় করেছিলো ;—তারপর হয়ে গেছে অখিহীন—চুপ । প্রান্তরের শতক ঘাসে যে-সবুজ বাতাসের আশা একদিন বলেছিলো ‘আবার করিব আমি অমত সঞ্চয়’— শত-শত মেষশাবকের অখিতারকাও পেলো যেন ভয় । শান্তি, শান্তি,— উত্তেজিত শপথের উৎসারণ প্লীহা ঘিরে থাকে না সতত, বালঘড়ি হ’য়ে থাকে চিরদিন স্তবধতার মতো । ছে হৃদয় হে হৃদয়, একদিন ছিলে তুমি নদী ; পারাপারহীন এক মোহানায় তরণীর ভিজে কাঠ খ:জিতেছে অন্ধকার স্তবধ মহোদধি । তোমার নিজ ন পাল থেকে যদি মরণের জন্ম হয় হে তরণী, কোনো দরে পীত পথিবীর বদকে ফাগনিক তবে ঝরনার জল আজো ঢালক নীরবে ; বিশাঁণেরা অজিলায় ভ’রে নিক সলিলের মুক্তা আর মণি ; অন্ধকার সাগরের মরণকে নিষ্ঠা দিয়ে,—উষালোকে মাইক্লোফোনের মতো রবে । ১৩৩৬—৩৮ স্মরণে অনেক চিন্তার সত্র সমবায়ে একটি মহৎ দিন এখানে গঠন ক’রে যেতেছিলো কয়েকটি স্থির সমীচীন ষবো এসে ;–কোথাও বিদ্যৎ নেই—তবুও আগন যেন ধীরে জন্বলেছিলো এই হরিতকীকুঞ্জে মাঘের তিমিরে ; ভোর এলো ;—ভারই পাখির মতো কেউ তব হয়নিকো আকাশে উত্তীন উড়িবার কাজ সব আগন্তুক বহৎ চিলের তরে রেখে অনেক আশ্চয’ শ্লোক খোঁজা হ'লো ভারতীয় মনীষার থেকে ; যেন সব অমেয় সদরে বক্ষে বাতাসের সংগীতের মতো ঃ SCO