পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুনো স্বাস পেচার ধসর পাখা উড়ে যায় নক্ষত্রের পানে— জলা মাঠ ছেড়ে দিয়ে চাঁদের আহবানে । বনো হাঁস পাখা মেলে—শই শই শব্দ শনি তার ; এক—দই—তিন—চার—অজস্র—অপার— রাত্রির কিনার দিয়ে তাহাদের ক্ষিপ্র ডানা ঝাড়া এঞ্জিনের মতো শব্দে ; ছয়টিতেছে—ছটিতেছে তারা । তারপর প’ড়ে থকে, নক্ষত্রের বিশাল আকাশ, হাঁসের গায়ের ঘ্রাণ—দর একটা কল্পনার হসি ; মনে পড়ে কবেকার পাড়াগাঁর অরণিমা সান্যালের মুখ ; উড়ক উড়কে তারা পউষের জ্যোৎস্নায় নীরবে উড়কে কল্পনার হাঁস সব—পথিবীর সব ধৰনি সব রঙ মুছে গেলে পর উড়কে উড়কে তারা হৃদয়ের শব্দহীন জ্যোৎস্নার ভিতর । अभंख्धंभांडणां \o কান্তরের পথ ছেড়ে সন্ধ্যার অাঁধারে সে কে এক নারী এসে ডাকিল আমারে, বলিল, তোমারে চাই ঃ বেতের ফলের মতো নীলাভ ব্যথিত তোমার দুই চোখ খ:জেছি নক্ষত্রে আমি–কুয়াশার পাখনায়— সন্ধ্যার নদীর জলে নামে যে আলোক জোনাকির দেহ হতে—খ:জেছি তোমারে সেইখানে— ধসর পেচার মতো ডানা মেলে আঘাণের অন্ধকারে ধানসিড়ি বেয়ে-বেয়ে সোনার সিড়ির মতো ধানে আর ধানে তোমারে খুজেছি আমি নিজন পে'চার মতো প্রাণে । দেখিলাম দেহ তার বিমষ পাখির রঙে ভরা ; সন্ধ্যার অাঁধারে ভিজে শিরীষের ডালে যেই পাখী দেয় ধরাবাঁকা চাঁদ থাকে যার মাথার উপর, শিঙের মতন বাঁকা নীল চাঁদ শোনে যার স্বর। কড়ির মতন শাদা মুখ তার, দুইখানা হাত তার হিম ; ఏ8