পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রিয়ের হাতের মতো লেগে আছে ঘড়ির সময় ভুলে গিয়ে আকাশের প্রসারিত হাতের ভিতরে । সে আদি অরণির যুগ থেকে শুরু করে আজ । অনেক মনীষা, প্রেম, নিমীল ফসলরাশি ঘরে এসে গেছে মানুষের বেদনা ও সংবেদনাময় । পথিবীর রাজপথে—রঞ্জপথে—অন্ধকার অববাহিকায় এখনো মানুষ তব খোঁড়া ঠ্যাঙে তৈমুরের মতো বা’র হয় । তাহার পায়ের নিচে তৃণের নিকটে তৃণ মকে অপেক্ষায় ; তাহার মাথার পরে সয, সবাতী, সরমার ভিড় ; এদের নত্যের রোলে অবহিত হয়ে থেকে ক্ৰমে একদিন কবে তার ক্ষুদ্র হেমন্তের বেলা হবে নিসগের চেয়েও প্রবীণ ? চেয়েছে মাটির দিকে—ভূগভে তেলের দিকে সমস্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অবিরল যারা, মাথার উপরে চেয়ে দেখেছে এবার ; দরবীনে কিমাকার সিংহের সাড়া পাওয়া যায় শরতের নিমেঘ রাতে । বকের উপরে হ্রত রেখে দেয় তারা। যদিও গিয়েছে ঢের ক্যারাভান ম’রে, মশালের কেরোসিনে মানুষেরা অনেক পাহারা দিয়ে গেছে তেল, সোনা, কয়লা ও রমণীকে চেয়ে ; চিরদিন এই সব হৃদয় ও রধিরের ধারা । মাটিও আশ্চর্য সত্য । ডান হাত অন্ধকারে ফেলে নক্ষত্রও প্রামাণিক ; পরলোক রেখেছে সে জেদ্বলে ; অমত সে আমাদের মৃত্যুকে ছাড়া । মোমের আলোয় আজ গ্রন্থের কাছে বসে—অথবা ভোরের বেলা নদীর ভিতরে আমরা যতটা দরে চলে যাই—চেয়ে দেখি আরো-কিছু আছে তারপরে ! অনিদিটি আকাশের পানে উড়ে হরিয়াল আমারো বিবরে ছায়া ফ্যালে । ঘরোনো সিড়ির পথ বেয়ে যারা উঠে যায় ধবল মিনারে, কিংবা যারা ঘমেন্তের মতো জেগে পায়চারি করে সিংহদ্বারে, অথবা যে-সব থাম সমীচীন মিসির হাত থেকে উঠে গেছে বিদ্যতের তারে, তাহারা ছবির মতো পরিতৃপ্ত বিবেকের রেখায় রয়েছে অনিমেষ । হয়তো অনেক এগিয়ে তারা দেখে গেছে মানুষের পরম আয়র পারে শেষ জলের রঙের মতো স্বচ্ছ রোদে একটিও বোলতার নেই অবলেশ । তাই তারা লোস্ট্রের মতন স্তবধ । আমাদেরো জীবনের লিপ্ত অভিধানে বজাইস অক্ষরে লেখা আছে অন্ধকার দলিলের মানে । ՏԳO