পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সটির ভিতরে তব কিছুই সুদীঘতম নয়—এই"জ্ঞানে লোকসানী বাজারের বাক্সের আতাফল মারীগ টিকার মতো পেকে নিজের বীজের তরে জোর ক’রে সযকে নিয়ে আসে ডেকে । অকৃত্রিম নীল অালো খেলা করে ঢের আগে মত প্রেমিকের শব থেকে । একটি আলোক নিয়ে বসে থাকা চিরদিন ; নদীর জলের মতো স্বচ্ছ এক প্রত্যাশাকে নিয়ে ; সে-সবের দিন শেষ হ’য়ে গেছে এখন সন্টির মনে—অথবা মনীষীদের প্রাণের ভিতরে । সটি অামাদের শত শতাবদীর সাথে ওঠে বেড়ে । একদিন ছিলো যাহা অরণ্যের রোদে—বালুচরে, সে আজ নিজেকে চেনে মানুযের হৃদয়ের প্রতিভাকে.নেড়ে । আমরা জটিল ঢের হয়ে গেছি—বহুদিন পরাতন গ্রহে বেচে থেকে । যদি কেউ বলে এসে ; ‘এই সেই নারী, একে তুমি চেয়েছিলে ; এই সেই বিশুদ্ধ সমাজ–’ তবুও দপ'ণে অগ্নি দেখে কবে ফুরায়ে গিয়েছে কার কাজ.? অামাদের মৃত্যু নেই আজ আর, যদিও অনেক মৃত্যুপরম্পরা ছিলো ইতিহাসে ; বিস্তৃত প্রাসাদে তারা দেয়ালের অললেও ছবি ; নানারপ ক্ষতি ক্ষয়ে নানা দিকে ম’রে গেছে—মনে পড়ে বটে এই সব ছবি দেখে ; বন্দীর মতন তব নিস্তবধ পটে নেই কোনো দেবদত্ত, উদয়ন, চিত্ৰসেন : স্থাণ । এক দরজায় ঢুকে বহি কৃত হয়ে গেছে অন্য এক দয়ারের দিকে অমেয় আলোয় হেটে তারা সব । ( আমাদের পকে পুরুষেরা কোন বাতাসের শবদ শুনেছিলো ; তারপর হয়েছিলো পাথরের মতন নীরব ? ) অামাদের মণিবন্ধে সময়ের ঘড়ি কাচের গেলাসে জলে উক্তজবল শফরী ; সমুদ্রের দিবারেীদ্রে আরন্তিম হাঙরের মতো ; তারপর অন্য গ্ৰহ নক্ষত্রেরা আমাদের ঘড়ির ভিতরে যা হয়েছে, যা হতেছে, অথবা যা হলে সব এক সাথে প্রচারিত করে । সটির নাড়ীর পরে হাত রেখে টের পাওয়া যায় অসম্ভব বেদনার সাথে মিশে রয়ে গেছে অমোঘ-আমোদ ; তব তারা করেনাকো পরপরের ঋণশোধ । ভিখিরী একটি পয়সা আমি পেয়ে গেছি আহিরীটোলায়, একটি পয়সা আমি পেয়ে গেছি বাদুড়বাগানে, ՏԳՏ