পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাকে তুমি আমাকে তুমি দেখিয়েছিলে একদিন ঃ মস্ত বড়ো ময়দান –দেবদার পামের নিবিড় মাথা—মাইলের পর মাইল ;– দপারবেলার জনবিরল গভীর বাতাস দর শন্যে চিলের পাটকিলে ডানার ভিতর অস্পষ্ট হয়ে হারিয়ে যায় ; জোয়ারের মতো ফিরে আসে আবার ; জানালায়-জানালায় অনেকক্ষণ ধরে কথা বলে ঃ পথিবীকে মায়াবীর নদীর পারের দেশ বলে মনে হয় । তারপর দরে অনেক দুরে খররৌদ্রে পা ছড়িয়ে বষয়িসী রুপসীর মতো ধান ভানে -গান গায়—গান গার এই দুপুরের বাতাস । এক একটা দপুরে এক-একটা পরিপণ জীবন অতিবাহিত হয়ে যায় যেন । বিকেলে নরম মাহত ; নদীর জলের ভিতর শস্বর, নীলগাই, হরিণের ছায়ার আসা-যাওয়া ; একটা ধবল চিতল-হরিণীর ছায়া আতার ধসের ক্ষীরে-গড়া মতির মতো নদীর জলে সমস্ত বিকেলবেলা ধ’রে স্থির মাঝে মাঝে অনেক দীর থেকে শমশানের চন্দনকাঠের চিতার গন্ধ, আগমনের—ঘিয়ের প্রাণ ; বিকেলে অসম্ভব বিষন্নতা । ঝাউ হরিতকী শাল, নিভন্ত সযে* পিয়াশাল পিয়াল আমলকী দেবদার – বাতাসের ব্যকে পাহা, উৎসাহ, জীবনের ফেনা ; শাদা-শাদাছিট কালো পায়রার ওড়াওড়ি জ্যোৎস্নায়—ছায়ায়, ज्ञाटाि ; নক্ষত্র ও নক্ষত্রের অতীত নিস্তবধতা । মরণের পরপারে বড় অন্ধকার এই সব আলো প্রেম ও নিজনতার মতো । ২৩