পাতা:জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ (প্রথম খণ্ড).pdf/২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छूभि s নক্ষরের চলাফেরা ইশারায় চারিদিকে উজ্জবল আকাশ ; বাতাসে নীলাভ হয়ে আসে যেন প্রান্তরের ঘাস ; কাঁচপোকা ঘুমিয়েছে – গঙ্গা ফড়িং সে-ও ঘনমে ; অাম নিম হিজলের ব্যাপ্তিতে পড়ে আছো তুমি । ‘মাটির অনেক নিচে চলে গেছো ? কিংবা দরে আকাশের পারে তুমি আজ ? কোন কথা ভাবছো অধিারে ? ওই যে ওখানে পায়রা একা ডাকে জামিরের বনে ঃ মনে হয় তুমি যেন ওই পাখি—তুমি ছাড়া সময়ের এ-উদ্ভাবনে আমার এমন কাছে—আশিবনের এত বড়ো অকুল আকাশে অার কাকে পাবো এই সহজ গভীর অনায়াসে—’ বলতেই নিখিলের অন্ধকার দরকারে পাখি গেল উড়ে প্রকৃতিস্থ প্রকৃতির মতো শবেদ—প্রেম অপ্রেম থেকে দরে । ধান কাটা হয়ে গেছে ধান কাটা হয়ে গেছে কবে যেন—ক্ষেতে মাঠে পড়ে অাছে খড় পাতা কুটো ভাঙা ডিম –সাপের খোলস নীড় শীত । এই সব উৎরায়ে ঐখানে মাঠের ভিতর ঘুমাতেছে কয়েকটি পরিচিত লোক আজ —কেমন নিবিড় । ঐখানে একজন শয়ে আছে—দিনরাত দেখা হতো কত কত দিন, হৃদয়ের খেলা নিয়ে তার কাছে করেছি যে কত অপরাধ ; শান্তি তবু ৪ গভীর সবুজ ঘাস ঘাসের ফড়িং অাজ ঢেকে আছে তার চিন্তা আর জিজ্ঞাসার অন্ধকার সবাদ । শিরীষের ডালপালা শিরীষের ডালপালা লেগে অাছে বিকেলের মেঘে পিপলের ভরা বরকে চিল নেমে এসেছে এখন ; বিকেলের শিশুসন্য কে ঘিরে মায়ের আবেগে করণ হয়েছে ঝাউবন । নদীর উচ্চজৰল জল কোরালের মতো কলরবে ভেসে নারকোলবনে কেড়ে নেয় কোরালীর ভ্রণে ; বিকেল বলেছে এই নদীটিকে ঃ "শান্ত হতে হবে —” অকুল সপরিবন স্থির জলে ছায়া ফেলে এক মাইল শান্তি কল্যাণ 을8